নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফরিদপুর: নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের বকুল মোল্যার বিরুদ্ধে নিরীহ কয়েকটি পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এরই মধ্যে এই মামলায় নিরীহ ব্যক্তি আইয়ুব শেখকে (৬২) গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মিথ্যা মামলায় কয়েকজনকে আসামি ও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অভিযোগ তুলে এলাকার লোকজন বলছেন, এ ঘটনায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটতে পারে।
সরেজমিনে গেলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেন, গ্রাম্য শালিস র্বোডের অনুমতি নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর আইয়ুব শেখ তার নিজ জমির গাছ বিক্রি করেন। এর জেরে প্রতিবেশী বকুল মোল্যা তার মা মরিয়ম বেগমের ওপর হামলা ও বাড়িতে লুটপাটের মিথ্যা এক এজাহার করেন নগরকান্দা থানায়। থানা এজাহার আমলে নিয়ে কোনো তদন্ত ছাড়াই গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মামলার আসামি আইয়ুবকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ওই মামলায় আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।
আইয়ুবের স্ত্রী মমতাজ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘জমি-জমা নিয়ে বিরোধ ছিলো। সেই বিরোধ কয়েকদিন আগে এলাকার শালিসদাররা মীমাংসা করে দেন। এরপর সেই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেন আমার স্বামী। এ কারণেই প্রতিবেশী বকুল মোল্যা টাকা-পয়সা দিয়ে মিথ্যা মামলা করে আমার স্বামীকে গ্রেপ্তার করিয়েছেন পুলিশ দিয়ে। বকুলের মা মরিয়ম বেগম মারপিটের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যে চিকিৎসার কথা বলছেন, সেই বিষয়টিও মিথ্যা। এমন তারিখে মরিয়ম নামে কোনো রোগিনী ভর্তি হননি মেডিকেলে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
তার স্বামীকে আটকের পর মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন মমতাজ বেগম।
গ্রামের রাহেলা বেগম বলেন, ‘এলাকায় এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না, আপনারা এলাকায় জেনে দেখেন। এমনকি যারা মামলা করেছেন, তারাও বলতে পারবেন না। জমি-জমা সংক্রান্ত ঘটনায় টাকা দিয়ে এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বকুল। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এ বিষয়ে বকুল মিয়ার বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে বাদীর স্ত্রী রেহেলা বেগম ও পরিবারের সদস্যরা ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে এই বিষয়ে কিছু বলতে পারবেন না বলে জানান।
মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরকান্দা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেলে চার্জশিট দেওয়া হবে। তদন্তের আগে মামলা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ অভিযোগ দিলে অভিযোগের তদন্ত হয়। বাদী থানায় এজাহার দাখিল করেছেন। যে কারণে সরাসরি মামলা হয়েছে।