জেলা প্রতিনিধি: নরসিংদীর সদর উপজেলার চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের খোদাদিলা গ্রামে বালু ব্যবসাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে উভয়পক্ষের প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সৈকতে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ইছাগুরি গোষ্ঠী ও আজ্জাইর গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়।
আহতদের মধ্যে যাদের নাম জানা গেছে তারা হলেন- খোদাদিলা গ্রামের টেঁটাবিদ্ধ মৃত সাত্তার মিয়ার ছেলে কুতুব উদ্দিন (৩৫), গুলিবিদ্ধ হক মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (১৬), ককটেল বিস্ফোরণে আহত ফিরোজ মিয়ার ছেলে তৈয়ব (১৫), মৃত কামাল মিয়ার ছেলে রমজান (২৫), জামাল মিয়ার ছেলে মামুন (২৮), সাফি আয়সের ছেলে রাসেল (২২), গনি মিয়ার ছেলে কাজল (৩৩), সেলিম মিয়ার ছেলে ঈমন (২২), সবিকুল হোসেনের ছেলশান্ত (২৪), জাকারিয়ার ছেলে আলতা (২২), রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হৃদয় (১৮) ও মালা মিয়ার ছেলে নাসির (২৩)। আহতদের মধ্যে অধিকাংশই গুলিবিদ্ধ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে মেঘনা নদী ও তার শাখা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধিতে নদী থেকে বালু উত্তোলন কার্যক্রম গত দুই মাস আগে শুরু হয়। প্রকল্প অনুযায়ী এসব বালু নদীর পাশে রাখার কথা থাকলেও এই বালু দিয়ে আলোকবালী ইউনিয়নের সাতপড়া ও খোদাদিলা, বাখরনগরসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলী জমি, পুকুর-ডোবাসহ বিভিন্ন স্থান ভরাট করা হচ্ছে। আর এ স্থানগুলো বালু ভরাটের জন্য প্রতি শতাংশে ১০-১৫ টাকা করে হয়। খোদাদিলায়ও একইভাবে আজ্জাইর গোষ্ঠীর জয়নাল আবেদিন সরকার ও তার গোষ্ঠীর লোকজন ১০-১৫ হাজার টাকা করে নেয়।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
অবৈধ এই বালু ব্যবসায় আজ্জাইর গোষ্ঠীর ১০ জন শেয়ারে থাকলেও ইছাগুরি গোষ্ঠীর জাকির গংদের কোনো লোককে রাখা হয়নি। গত ২৮ এপ্রিল ইছাগুরি গোষ্ঠীর আমানুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি অবৈধ এই বালু ব্যবসার ভাগ চাইতে গেলে তাকে বালু ব্যবসার ভাগ না দিয়ে উল্টো চড়-থাপ্পড় মেরে বের করে দেয়। এতেও তারা ক্ষান্ত হয়নি। পরের দিন ২৯ এপ্রিল আজ্জাইর গোষ্ঠীর লোকজন ইছাগুরির গোষ্ঠীর লোকজনদের গ্রাম ছাড়া করে বলে অভিযোগ ওঠে।
পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীর আহমেদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই দুটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিনের বিরোধ রয়েছে। জাকির গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করতে চাইলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়। খোদাদিলা গ্রামটি অনেক বড়। এক দিকে ধাওয়া করলে অন্য দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ভোর থেকে আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
সান নিউজ/এএন