জেলা প্রতিনিধি: আগামী ৬৫টি দিনের জন্য বাংলাদেশের সামুদ্রিক জলসীমায় সব ধরনের মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন বৃদ্ধি, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য রোববার (১৯ মে) দিবাগত রাত ১২টা থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর
এর আগে গত ২৪ এপ্রিল নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানিয়েছিল সরকার।
গতকাল এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে সমুদ্রযাত্রার প্রবেশপথগুলোতে মনিটরিং জোরদার করা হবে। সেই সঙ্গে মৎস্য নৌ যানের সমুদ্রযাত্রা শতভাগ বন্ধ রাখা হবে।
পাশাপাশি সামুদ্রিক মৎস্য পরিবহন বন্ধে সমুদ্র তীরবর্তী বরফকলসমূহ সীমিত পর্যায়ে চালু রাখা হবে ও সমুদ্রে মৎস্য আহরণকারী নৌযান নোঙরস্থলে আবদ্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: অটোরিকশা চালকদের সড়ক অবরোধ
নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন মৎস্যজীবীদের বিকল্প আয় বা খাদ্য সহায়তা হিসেবে ৬৫ দিনের জন্য ২ কিস্তিতে ৮৬ কেজি হারে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ৬২টি জেলে পরিবারকে ভিজিএফ বরাদ্দ করা হয়েছে।
সমুদ্রে অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, নৌপুলিশ এবং নৌবাহিনীর সক্রিয় সহযোগিতা চেয়ে যথাক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগে ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: সৌদি পৌঁছেছেন ৩০৮১০ হজযাত্রী
নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে কন্ট্রোল রুম চালু করেছে মৎস্য অধিদফতর। এছাড়া বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে ৩টি বিভাগীয় মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে স্থানীয়ভাবে ব্যানার, লিফলেট, পোস্টার, মাইকিং ও সচেতনতামূলক সভা করে জেলেদের মাঝে প্রচার কার্যক্রম চালানো হয়। এ কাজে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, মৎস্যজীবী সমিতি ও সংগঠনকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
সান নিউজ/এনজে