জেলা প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হরিদাশপুর এলাকায় এবং একই উপজেলার চাপাইল সড়ক দুর্ঘটনায় ২ শিক্ষক, ১ শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নদীতে গোসলে নেমে স্কুলছাত্রের মৃত্যু
শনিবার (১৮ মে) রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার দেবাসুর গ্রামের কানাই দাসের ছেলে ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস (৫৭), একই উপজেলার কড়িগ্রামের রেবতী সরকারের ছেলে ও এম.এইচ.খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার (৪৮), পুঁইশুর গ্রামের আব্দুল আলী মোল্লার ছেলে ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা (৪২) এবং গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষেরচর দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাবু শেখের ছেলে ও ৫ম শ্রেণির ছাত্র রামিম শেখ (১০)।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, একটি মোটরসাইকেলে করে কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ শহরে আসছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস, এম.এইচ.খান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক বাবুল সরকার ও ইমাদ পরিবহনের সুপারভাইজার জুয়েল মোল্লা। এ সময় মোটরসাইকেলটি হরিদাশপুর এলাকায় পৌঁছালে সেতু পরিবহনের একটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে মহাসড়কে ছিটকে পড়ে ৩ জন আহত হন।
আরও পড়ুন: সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
পরে তাদেরকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিস্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল মোল্লা মারা যায়। আহত দুই শিক্ষককে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শিক্ষক পিনাকী রঞ্জন দাস ও বাবুল সরকারও মারা যান।
অন্যদিকে, সদর উপজেলার চাপাইল সড়ক পার হওয়ার সময় ৫ম শ্রেণির ছাত্র রামিম শেখকে মাটি টানা একটি ট্রলি চাপা দেয়। এতে সে গুরুত্বর আহত হলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামিম মারা যায়।
সান নিউজ/এএন