ভোলা প্রতিনিধি: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে পাঙ্গাস মাছের অবৈধ পোনা শিকারের ৫টি চাই ধ্বংস করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাতে প্রাণ গেলো ২ শ্রমিকের
শুক্রবার (১৭ মে) বিকেলে ভোলা সদর উপজেলার তুলাতুলি মৎসঘাট সংলগ্ন ঘাটের পাশে এ অবৈধ চাই ধ্বংস করা হয়। এ সময় পাঙ্গেসের পোনার জন্য খাবার তৈরির পাত্র হিসেবে ব্যবহার করা ১২ টি মটকা ও একটি বেহুন্দি জাল পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এর আগে দেশীয় পাঙ্গাসের পোনা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট স্টোক হোল্ডারদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা মৎস অধিদফতরের বাস্তবায়নে ও ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের সহযোগিতায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ ও ভোলা জেলা মৎস কর্মকর্তা বিশ্বৎজিত কুমাড় দেব।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৌলতখান উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজ হাসনাইন।
আরও পড়ুন: সুন্দরগঞ্জে নিবার্চন থেকে সরে দাঁড়ালেন ডা. আলম
এ সময় বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস জীবী সমিতি লালমোহন উপজেলার সভাপতি আব্দুল কাশেম চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মৎসজীবী আওয়ামী লীগের সভাপতি হাসান আলী খাঁ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎসজীবী ভোলা সদর উপজেলার সভাপতি মোহাম্মদ এরশাদ ও বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ভোলা জেলে সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ ফরাজিসহ আরও অনেকে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, দেশীয় পাঙ্গাস আমাদের মৎস সম্পদ। ভোলার ইলিশা থেকে মনপুরা পর্যন্ত পাঙ্গাসের প্রজনন ক্ষেত্র। সারা বাংলাদেশের পাঙ্গাসের যে পোনা উৎপাদিত হয়, তার শতকরা ৬০ ভাগ এ জেলায় উৎপাদিত হয়।
আমরা এ পাঙ্গাসের পোনা রক্ষা করতে পারলে পাঙ্গাসের শতকোটি টাকার মার্কেট ৫০০ কোটি টাকায় রূপান্তর করা সম্ভব হবে। সেই লক্ষ্যই বর্তমান সরকার উদ্যাগ নিয়েছে পাঙ্গাসের পোনাকে রক্ষা করার জন্য। সে ধারাবাহিকতায় পাঙ্গাস রক্ষায় নদী থেকে অবৈধ পাঙ্গাসের চাই অপসারণের উদ্যাগ নেয়া হয়েছে।
তারই অংশ হিসেবে ভোলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে অবৈধ ৫টি পাঙ্গাসের চাই জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া পাঙ্গেসের চাইয়ের জন্য খাবার তৈরি করা ১২ টি মটকা ধ্বংস করা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি বেহুন্দি জাল বিনষ্ট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সকালের বৃষ্টিতে নগরজীবনে স্বস্তি
আমরা আশা করি, এসব পাঙ্গেসের চাই নদী থেকে অপসারণ করতে পারলে মেঘনা নদীতে আগামী দিনে ইলিশের পাশাপাশি পাঙ্গাস মাছ বেড়ে যাবে।
এর সুফল জেলেদের পাশাপাশি গোটা বাংলাদেশ পাবে। দেশও মৎস সম্পদে সমৃদ্ধ হবে। তার জন্য অবৈধ পাঙ্গাসের চাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযান আগামী জুলাই মাস পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জব্দ করা ৫টি অবৈধ চাই আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের পরিচালক মোল্লা এমদাদুল্যাহ’র দিকনির্দেশনায় এ অভিযান বাস্তবায়ন করেন দৌলতখান উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজ হাসনাইন।
সান নিউজ/এনজে