জেলা প্রতিনিধি: বরিশালের নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ২ পক্ষের সংঘর্ষের জেরে আজ সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূর পাল্লার সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে টার্মিনালে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৭ বিভাগে বৃষ্টির আভাস
শনিবার (৪ মে) দুপুরে বাস শ্রমিকদের ২ গ্রুপ ও সন্ধ্যায় মাহিন্দ্রা চালকদের ওই সংঘর্ষের কারণে রোববারও (৫ মে) ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উজিরপুরগামী যাত্রী মাসুদ রানা জানান, সব বাস চলাচল বন্ধ। এ সুযোগে অটো রিকশার চালকরা ৩ গুণ বেশি ভাড়া আদায় করছে। ছেলের চিকিৎসা করাতে এসে আটকে আছেন বলে জানান তিনি।
এ সময় বিক্ষুব্ধ বাস শ্রমিকরা বলেন, গতকাল বাস চালক ও হেলপারকে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাস চলবে না।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) আলী আশরাফ ভূঞা জানান, শ্রমিকদের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছি। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রাকে চালকের মৃত্যু
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে ২ ঘণ্টাব্যাপী দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ভাঙচুর চালায় শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করায় সারা দেশের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এ সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন।
এ দিন সন্ধ্যার দিকে জড়িতদের বিচার দাবিতে ফের বিক্ষোভ ও ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করেন বাস শ্রমিকরা। দ্বিতীয় দফা বিক্ষোভের একপর্যায়ে মাহিন্দ্রা চালকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান তারা।
এতে ২ গ্রুপের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হন। এ সময় সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত বাস ও মাহিন্দ্রা ভাঙচুর করা হয়। ঘণ্টা খানেক বন্ধ থাকে বাস চলাচল।
পুলিশ জানায়, নথুল্লাবাদ টার্মিনাল কেন্দ্রীক পরিবহন সেক্টরের শ্রমিক নেতাদের মধ্যে ২টি গ্রুপ বিদ্যমান। তাদের মধ্যে থাকা বিরোধের সূত্র ধরেই এ ঘটনা ঘটে। ফলে টার্মিনালের ভেতরে ও বাইরে সংঘর্ষ-ভাঙচুর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটিয়েছে শ্রমিকরা।
সান নিউজ/এনজে