মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে আপন চাচাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে। বুধবার দিনগত রাত ১১ টার দিকে জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার তৌলকাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম কাদির হালদার (৬৫)। সে ওই গ্রামের মৃত তজিমউদ্দিন হালদারের ছেলে।
আরও পড়ুন : রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টঙ্গীবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলেন, সম্প্রতি তৌলকাই গ্রামের আপন ভাই মোবারক হালদারের কাছ থেকে জমি কেনার জন্য অপর ৩ ভাই কাদির হালদার, ফারুক হালদার ও জালাল হালদারের কথা হয়। কিন্তু মাস খানেক আগে গোপনে ভাই জালাল হালদারের ছেলে রুবেল হালদার তার চাচা মোবারক হালদারের জমি কিনে তা রেজিষ্ট্রিও করেন। এ খবর জানতে পেরে বুধবার দিনগত রাতে ভাতিজা রুবেল হালদারের বাড়িতে ছুটে যায় চাচা কাদির হালদার ও তার ২ ছেলে ফয়সাল হালদার এবং আরিফ হালদার।
আরও পড়ুন : সাজেকে হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা
রাত ১১ টার দিকে জমি কেনা নিয়ে চাচা ও ভাতিজাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লাঠিসোটা দিয়ে চাচা কাদির হালদার ও চাচাতো ভাই আরিফ এবং ফয়সালকে পেটায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক চাচা কাদির হালদারকে মৃত ঘোষনা করেন।
নিহত কাদির হালদারের পুত্রবধু ফারজানা বেগম বলেন, জমি কেনা নিয়ে রুবেল হালদারের সঙ্গে আমার শ্বশুর কাদির হালদারদের বিরোধ ছিল। রুবেলরা জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলে ঝগড়া-ঝাটি করলো। আমার স্বামী আরিফ হালদার ও দেবর ফয়সাল হালদারকে পিটিয়ে আহত করলো। শ্বশুরকে পিটিয়ে মেরে ফেললো। শুনেছি মৃত্যুর আগে শ্বশুর পানি চেয়েছিল। তাকে পানি পর্যন্ত খেতে দেয়নি।
আরও পড়ুন : কক্সবাজারে দুই জেলের লাশ উদ্ধার
টঙ্গীবাড়ি থানার (ওসি) মোল্লা সোয়েব আলী বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে আরিফ হালদার বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
সান নিউজ/এএ