নিজস্ব প্রতিবেদক:
মাগুরা: মাগুরা-যশোর মহাসড়কের মঘির ঢাল এলাকায় দুটি যাত্রীবাহী বাস ও একটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে চারজন বাসযাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। এ সময় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন বাস ও মাইক্রোবাসযাত্রী।
শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদিন জানান, বরিশাল থেকে চাকলাদার পরিবহনের যশোরগামী একটি যাত্রীবাহী বাস ও একই দিকে যাওয়া একটি মাইক্রোবাস ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী সোহাগ পরিবহনের অন্য একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। চাকলাদার পরিবহনের বাসটি এখনো রাস্তার পাশে খাদে পড়ে আছে। সেটি উদ্ধারের চেষ্টা করছেন মাগুরা ও যশোর দমকল বাহিনীর সদস্যরা। নিহতরা সবাই এ পরিবহনের যাত্রী।
নিহতেরা হলেন, নরসিংদী শহরের পূর্ব দত্তপাড়ার ফখরুল ভূঁইয়া (৩৮), যশোর সদর উপজেলার রূপদিয়া গ্রামের চাকলাদার পরিবহনের সুপারভাইজার মো. আমিনুর রহমান (৪২), চালকের সহকারী একই উপজেলার সংকরপুর গ্রামের আরিফ মোল্লা (৪০) ও যশোরের শার্শা উপজেলার বেলতা গ্রামের নূর ইসলাম (৫৫)। আহতরা মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে জানান, দুর্ঘটনার পর পরই পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। চাকলাদার পরিবহনের বাস খালের পানির মধ্যে আংশিক ডুবেছিল।
নিহত ফখরুল ভূঁইয়ার ভাই লিওন ভূঁইয়া বলেন, ‘তার মেয়ের বিয়ের বাগদান করতে যশোর শহরের ষষ্টিতলায় যাওয়ার কথা ছিল তাদের। এ উদ্দেশ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নরসিংদী থেকে মাগুরার মহম্মদপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আসেন তিনি। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে যশোর যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। কিন্তু মাইক্রোবাসে সবার জায়গা না হওয়ায় মাগুরা শহর থেকে ফখরুলসহ পরিবারের তিন সদস্য ওঠেন বরিশাল থেকে আসা চাকলাদার পরিবহনে। ওই বাসের পেছনেই ছিল তাদের মাইক্রোবাসটি। বেলা দেড়টার দিকে মাগুরা শহর ছাড়িয়ে কয়েক কিলোমিটার দূরে মঘির ঢাল এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা সোহাগ পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে ওই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে চাকলাদার পরিবহনের বাসটি রাস্তার পাশে কয়েক ফুট গভীর খাদে পড়ে যায়। ওই সময় সোহাগ পরিবহনের ওই বাসের সঙ্গে তাদের মাইক্রোবাসেরও সংঘর্ষ হয়। তবে মাইক্রোবাসের কেউ বড় ধরনের হতাহত হননি। বাস দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলেই মারা যান ফখরুল ভূঁইয়া। তবে ওই বাসে থাকা তাদের পরিবারের অন্য দুই সদস্যের কেউ গুরুতর আহত হননি।
সান নিউজ/আরএইচ/ এআর