নিজস্ব প্রতিবেদক:
বরিশাল: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে হামলা, ভাঙচুর এবং কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে কলেজ প্রশাসন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ২০/২৫ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে তার থানায় মামলাটি করেন ওই ঘটনায় আহত মিজানুর রহমান বাচ্চু।
বিএম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ড. গোলাম কিবরিয়া জানান, সমাজকল্যাণ বিভাগে হামলা, ভাঙচুর ও কম্পিউটার অপারেটরকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবিরকে প্রধান করে এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মনিরুল আহসান হিরু ও অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল ইসলাম। কমিটিকে ২২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘থানায় আমরা লিখিতভাবেও জানিয়েছি বিষয়টি।’
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএম কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগে হঠাৎ করে হামলা চালান ২০/২৫ জন মুখোশধারী। এ সময় বিভাগের অফিসকক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানের কক্ষ ব্যাপক ভাঙচুর, সিসিটিভির রেকর্ড লুট এবং কম্পিউটার অপারেটর মিজানুর রহমান বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করা হয়। ভাংচুর করা হয় বাচ্চুর মোটরসাইকেলও। তবে কি কারণে হামলা চালানো হয়েছে এবং কারা হামলা চালিয়েছে তা জানাতে পারেননি বাচ্চু এবং কলেজ কতৃপক্ষ। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
আহত বাচ্চু একইসঙ্গে বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাংলাদেশ বাণী পত্রিকার কম্পিউটার অপারেটর পদেও কর্মরত। ওই পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক ও বিএম কলেজের সাবেক ভিপি মঈন তুষারের বিরুদ্ধে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব খান। পরদিন মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কোতোয়ালি থানা পুলিশ পত্রিকাটির কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এর একদিন পরই পত্রিকাটির বাচ্চুকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় রাজনৈতিক বিরোধকেও সামনে আনছেন কেউ কেউ।
তারা বলছেন, বাংলাদেশ বাণী পত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক মঈন তুষার বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত শওকত হােসেন হিরণ ও জেবুন্নেছা আফরোজ এমপির অনুসারী। দীর্ঘদিন ধরেই সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহর গ্রুপের সঙ্গে হিরণ-জেবুন্নেছা গ্রুপের স্নায়বিক বিরোধ চলে আসছে। তবে সেরনিয়াবাদ সাদিক আব্দুল্লাহ মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর রাজনীতি থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখেন মঈন তুষার।
তারপরও মঈন তুষার ও তার সহকর্মীদের হেনস্থা করার অভিযোগ উঠছে মেয়র গ্রুপের বিরুদ্ধে।
সান নিউজ/ এআর