নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : দক্ষিণ অঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ মৎস্য বন্দর পটুয়াখালীর আলীপুরে এক জেলের ট্রলার ১৫০ মন ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সাগরে এসব মাছ ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন : পদদলিত হয়ে প্রাণ গেল নারীর
শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার হাজী আহমেদ কবিরের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহর দয়া-১ নামের একটি মাছ ধরা ট্রলার ১৫০ মণ ইলিশ বিক্রির জন্য মৎস্য বন্দর আলীপুরে আসে। তবে বরফ না থাকায় ২৫ মণ ইলিশ মাছ পচে গেছে। বাকি ১২৫ মণ ইলিশ আলিপুরের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম খানের মালিকানাধীন খান ফিশে নিলামের মাধ্যমে ৪০ লাখ টাকা বিক্রি করা হয়েছে।
ট্রলারের মাঝি সূর্য মিয়া জানান, দুদিন সমুদ্রে ফিশিং করে এই মাছগুলো তারা পেয়েছেন। ট্রলারে থাকা বরফে ১৭ হাজার পিস ইলিশ সংরক্ষণ করতে পেরেছেন। ওজন করে তা ১২৫ মণ ইলিশ পাওয়া গেছে। বাকি ২৫ মণ ইলিশ মাছ জালসহ তারা ঘাটে নিয়ে এসেছেন। ঘাটে পৌঁছে মাছগুলো জাল থেকে ছাড়িয়ে নিতে বিলম্ব হওয়ায় পচে গেছে। মাছগুলো তাজা থাকলে আরও ১০ লাখ টাকা বেশি বিক্রি হতো।
আরও পড়ুন : বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট স্থাপন হবে
খান ফিশের পরিচালক আলমগীর খাঁন জানান,আজ সকালে সূর্য মাঝির ট্রলার ১৫০ মন ইলিশ নিয়ে আমাদের আড়তে আসলে ১২৫ মন আমরা বিক্রি করতে পেরেছি, বাকি ২৫ মন ইলিশ বরফ না থাকার কারণে আগেই পঁচে গিয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা সঠিকভাবে পালন হওয়ায় আগের চেয়ে সব মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ মান্য করার সুফল পাচ্ছেন উপকূলের জেলেরা। বর্তমানে সমুদ্রে প্রচুর ইলিশ মাছ ধরা পড়ছে। আশা করছি, এভাবে আগামী আষাঢ় মাস পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরা পড়বে।
সান নিউজ/এমআর