জেলা প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে নাফ নদীর ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে আজও থেমে থেমে গ্রেনেড-গুলি ও মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। ফলে সীমান্তের এপারে টহল বৃদ্ধি করেছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা।
আরও পড়ুন: ঈদে ৫ দিন বন্ধ আমদানি-রফতানি
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা ও সাবরাং সীমান্তের এপারে বিস্ফোরণের শব্দসহ ধোঁয়ার কুণ্ডলি উড়তে দেখা যায়।
টেকনাফ পৌরসভার বাসিন্দা নজরুল ইসলাম জানান, দুপুর ১ টার দিকে বিকট শব্দে ভয় পেয়ে উঠান থেকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ি। উঠানে বসে ছিলাম, এ সময় হঠাৎ একটা বিকট শব্দে মাটি কেঁপে উঠে।
পরে বুঝতে পারি, মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দ এপারে পাওয়া যাচ্ছে। পরপর ২টি বড় বিকট শব্দ পাওয়া যায়। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সারাদেশে চলবে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন
শাহপরীর দ্বীপ বেড়িবাঁধ উত্তর পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, দুপুরে দ্বীপে পরপর দুটি বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। তখন আমি সীমান্ত সড়কের পাশে ছিলাম। মনে হয়েছে, নাফ নদ কেঁপে উঠেছে।
টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের ইউপি সদস্য মো. শাহাজালাল বলেন, সীমান্তে ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত থেমে মিয়ানমারের গোলার বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। আবারও কয়েকদিন ধরে সীমান্তে থেমে থেমে গোলার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঈদে ডিএমপির ২১ নির্দেশনা
জানা গেছে, নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায় মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির চলমান সংঘর্ষে সীমান্তে ওপার থেকে বাংলাদেশের টেকনাফের হোয়াইক্যং উত্তরপাড়া, লম্বাবিল, উনচিপ্রাং, কাঞ্জরপাড়া, হ্নীলা মৌলভিপাড়া, ওয়াব্রাং, ফুলের ডেইল, চৌধুরীপাড়া ও জালিয়াপাড়া এলাকায় থেমে থেমে গুলি ও মর্টার শেলের শব্দ পাওয়া গেছে।
মূলত, হোয়াইক্যং ও হ্নীলা সীমান্তের পূর্ব দিকে মিয়ানমারের শিলখালী ও নাফপুরা গ্রামে গৃহযুদ্ধ চলছে। ফলে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং থেকে শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত ৫৪ কিলোমিটার নাফ নদে বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা টহল বৃদ্ধি করেছেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের ভাড়ায় বসছে ভ্যাট
টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাশেদ মোহাম্মদ আলী বলেন, রাতে গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। ভোরে সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার থেকে থেমে থেমে ভারী মর্টার শেলের শব্দ শুনতে পাই। এসব গোলার শব্দ এখন নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ চলমান রয়েছে।
হ্নীলা সীমান্তের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস বলেন, ভোর থেকে থেমে থেমে মিয়ানমারের ভারী গোলার শব্দ পাওয়া গেছে। ভারী শব্দে মাঝে মধ্যে ভয়ে ঘুম ভেঙে যায়।
সান নিউজ/এনজে