ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের সড়কে নিয়ম না মানায় মোটর সাইকেল চালকদের বিরুদ্ধে হরহামেশা মামলা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। তবে এসব মামলার বেশিরভাগই হচ্ছে নিরীহ ও দুর্বলদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ছেলেকে হত্যা করে বাবার আত্মসমর্পণ
সোমবার (২ এপ্রিল) সকালে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক সংবাদ সম্মেলন ডেকে সাংবাদিকদের জানান, ওই যুবক মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। সে ওষুধ কেনার কোন প্রমাণ দেখাতে পারেনি। পুলিশকে হেয় করার জন্যই ভিডিও করে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে দাবি এসপির।
তবে ট্রাফিক পুলিশ বলছে, ট্রাফিক পুলিশকে হেয় করার জন্য এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গাড়ির কাগজপত্র সঠিক না থাকলে, ট্রাফিক আইন না মানলেই পুলিশ মামলা দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ট্রাফিক পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে মোটর সাইকেলসহ অন্যান্য গাড়ির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে ফিটনেসবিহীন ও ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, যা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। অনভিজ্ঞ ও মেয়াদবিহীন লাইসেন্সের চালক নেমে পড়ে সড়কে। এ সব কারণে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। যার কারণে চালকরা বলছে, এ সব হলো অতিরিক্ত মামলা।
আরও পড়ুন: ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
আজ মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১১টায় শহরের চৌরাস্তায় দেখা যায়, ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা মোটর সাইকেল আরোহীদের আটক করে গাড়ির যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই করছেন। এ সময় ইট ও খোয়া বোঝাই দুইটি পাওয়ার টিলার হঠাৎ মাঝ রাস্তায় বন্ধ হয়ে যায়। বন্ধ হওয়া গাড়ি দুটিকে দ্রুত পাশ কাটিয়ে দেওয়ায় পথচারীদের তোপের মুখে পড়েন সার্জেন্ট। পরে তাদের আটক করা হয়।
মোটর সাইকেল চালক রনি জানান, গাড়ির কাগজটা সঙ্গে না থাকায় ১৫ হাজার টাকার মামলা দিয়ে ছিলো ট্রাফিক পুলিশ। পরে কাগজপত্র দেখিয়েও কাজ হয়নি। এটা রীতিমত বাড়াবাড়ি। যেনো বাইক একটি অবৈধ যানবাহন। রাস্তায় উঠলে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে চালাতে হবে।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন
সাগর নামে একজন জানান, আজ পর্যন্ত একটা বাস, ট্রাক, নসিমন, পাওয়ার টিলারকে আটক করতে দেখলাম না। যত আইন প্রায়োগ ট্রাফিকের শুধু বাইকারদের ওপর। চৌরাস্তা ও রোডে অটোরিক্সা রাস্তা বন্ধ করে লোক ওঠানোর জন্য দাঁড়ায়। এর জন্য প্রতিদিন জ্যাম লেগেই থাকে। সেগুলো ট্রাফিক পুলিশ দেখে না। দেখে কোন দিক দিয়ে একটা বাইক যায়। অবৈধ ভাবে নসিমন, করিমন পাওয়ার টিলার সহ অনেক যানবাহন চলাচল করে চৌরাস্তা দিয়ে সেগুলো দেখেও না। আইন প্রয়োগ করেন ভাল কথা কিন্তু সবার জন্য সমান ভাবে করুন। কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. মাসুদ হাসান বলেন, আইন সবার জন্য সমান। চালকরা অন্যায় বা অনিয়ম করলে আমরা মামলা দিয়ে থাকি।রাস্তায় অনিয়ম করলে মামলা দেওয়া হয়। কোনো গাড়িকে টার্গেট করে মামলা দেওয়া হয় না।
আরও পড়ুন: বিপুল স্বর্ণসহ ইউপি সদস্য গ্রেফতার
ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক বলেন, পুলিশকে হেয় করার জন্য কেউ কেউ প্রচারনা চালাচ্ছে। পুলিশ ইচ্ছা করে মামলা দেয় না। চালকরা অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
সান নিউজ/এএ