মো. মনির হোসেন, ত্রিশাল প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ত্রিশালে সদ্য নিয়োগ পাওয়া এক ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার মামলা ও পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী আব্দুল কদ্দুসের পরিবার।
আরও পড়ুন: হারানো ফোন ফিরে পেলেন প্রকৃত মালিকরা
রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে ত্রিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজেদের অসহায়ত্ব ও কষ্টের কথা তুলে ধরেন আব্দুল কদ্দুস ও তার পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল কদ্দুস জানান, আমি ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়নের উজান বৈলর গ্রামের বাসিন্দা। আমার প্রতিবেশী রুহুল আমীনের ছেলে সাদরুল আলম সিয়াম গত ২ বছর আগে ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ পান।
সে ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার পরই আমার বাড়ির এক শতাংশ জমি জোর করে দখল করার পায়তারা করেন। এই জমিটুকু তার না হলে বাড়িতে গাড়ি যাওয়ার কোনো রাস্তা থাকে না। বাড়িতে গাড়ি না গেলে তার ইজ্জতের ব্যাপার।
আরও পড়ুন: ঝড়ে তছনছ সুনামগঞ্জের ২ উপজেলা
জমি দখল করতে না পেরে আমাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে। আমাদের বাড়ির গাছপালা ভেঙ্গে দেয় এবং তাদের কাছে জমি বিক্রি করে দিতে চাপ দেয়।
আমি জমি বিক্রি না করায় আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠিয়ে দেয়। এখন পর্যন্ত আমার বাড়িতে কমপক্ষে ৮/১০ দিন পুলিশ পাঠিয়ে আমাদের ভয় দেখিয়েছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার ছেলে মেহেদী হাসান সাদ্দাম ও আমার বৃদ্ধা স্ত্রী উম্মে কুলসুমকে (৭০) সেহরীর সময় জোর করে ধরে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
পরে আমার স্ত্রী ও সন্তান জামিনে মুক্ত হয়। সিয়াম ম্যাজিস্ট্রেট হওয়ার পর আমাকে ও আমার পরিবারকে নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
আব্দুল কদ্দুসের মেয়ে বলেন, সিয়ামের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। সে আমার মা-বাবাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমরা এই ম্যাজিস্ট্রেটের অত্যাচার ও ক্ষমতার অপব্যবহার থেকে মুক্তি চাই। পুলিশের হয়রানি থেকে মুক্তি চাই।
সান নিউজ/এনজে