উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের খুরুশকুল এলাকার প্রিয়ন্তী পাল। গত একবছর আগে শখের ফোনটি হারিয়ে পাগলপ্রায় সে। বড়বোন সংগীতশিল্পী হওয়ার সুবাধে নিয়মিত গান ও সংগীত চর্চা করে নিজেকে গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন গায়িকা হিসেবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বায়ুর মানে উন্নতি
নিজের গানের ভিডিও সংরক্ষণ করে রাখছিলেন হারিয়ে যাওয়া ফোনটিতে। ফোন উদ্ধারের আশায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। একবছরেও ফোন উদ্ধার না হওয়ায় একপ্রকার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সাইবার ক্রাইম সেলের দ্বারস্থ হন প্রিয়ন্তী। জিডি করার এক মাস পর ৮ এপিবিএন কার্যালয় থেকে প্রিয়ন্তীকে ফোনে জানানো হয়, তার হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
খবর শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় প্রিয়ন্তী। পরে ফোনটি নিজেই গ্রহণ করেন ৮এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মো. আমির জাফরের হাত থেকে। প্রিয়ন্তীর মতো হারিয়ে যাওয়া ১২টি মোবাইল ফোন গত এক মাসে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে ৮এপিবিএন।
এছাড়া ভুলবশত বিকাশের অন্য নাম্বারে চলে যাওয়া ২৩হাজার ৮শ টাকাও উদ্ধার করে প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করেছেন পুলিশের এ ব্যাটালিয়ন। সাইবার ক্রাইম সেলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন সহকারী পুলিশ সুপার মো. সালাহউদ্দিন কাদের ও কনস্টেবল তানজিদসহ ৮এপিবিএন কর্মকর্তাবৃন্দ।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চালু করতে হবে
৮এপিবিএন অধিনায়ক জানান, আমরা সবসময় চেষ্টা করি মানুষের হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার করে দিতে। এতে করে অনেকে তাদের শখের ফোন ফিরে পাচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ তথা ৮এপিবিএন'র সাইবার ক্রাইম সেলের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে হারিয়ে যাওয়া ফোন উদ্ধার করে দেয়ায় ৮ এপিবিএন'র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রকৃত মালিকরা।
সান নিউজ/এনজে