স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর ধানমন্ডি-৩২ এ "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় সারাদেশের কবি ও সাহিত্যিকদের জন্য ঢাকার যেকোনো স্থানে জাতীয় কবি ভবন নির্মাণ করার আহ্বান জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বনানীতে নবরূপে ‘এসপ্রেসো হাউস’
বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি-সাহিত্যিকদের অনেক ভালোবাসতেন, তাদেরকে সম্মান ও মর্যাদা দিতেন। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে দেশে এনেছিলেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসাবে তিনি বিভিন্ন কবিদের শুভেচ্ছাপত্র পাঠাতেন। তাই এই দাবি সময়ের দাবি।
দেশী-বিদেশী কবি ও সাহিত্যিকদের নিয়ে শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ধানমন্ডি-৩২নং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি যাদুঘর চত্তর, ঢাকায় এপার বাংলা ওপার বাংলা কবি দল, আন্তর্জাতিক বাংলা সাহিত্য কাব্য পরিষদ এবং বীর বাঙ্গালী আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের যৌথ আয়োজনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কবিতায় "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ " শীর্ষক আন্তর্জাতিক কবিতা উৎসব-২০২৪।
এপার বাংলা ওপার বাংলা কবি দল এর প্রতিষ্ঠাতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম বাঙ্গালীর সভাপতিত্বে প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী এম নাজিমউদ্দীন আল আজাদ।
আরও পড়ুন: ৪৮ বছরে দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচারপতি ড. আবু তারিক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কথা সাহিত্যিক সালমা বানী, ছড়াকার আসলাম সানী, পুলিশের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমেদ পিপিএম, কবি মাহামুদুল হাসান নিজামী, এডভোকেট আবদুল মালেক (মশিউর মালেক), আমেরিকা থেকে উপস্হিত ছিলেন, ধনজয় সাহা, চিন্ময় রায় চৌধুরী ও ইউসুফ রেজা প্রমুখ।
ভারত থেকে এসেছিলেন- বাউল শিল্পী পরেশ সরকার, চয়িনিকা পাল, মৌসুমী মন্ডল, খান আক্তারুজ্জামান, রবিউল আলম রবি, কবি হাসিনা মমতাজ হাসি, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাহিদ রোখসানা, ফেনীর কবি জেরিনা সুলতানা নাসরিন, মতিয়ারা মুক্তা, ইলোরা সোমা, আব্দুল গনি ভূইয়া, কবি ও সংগঠক মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বিশিষ্ট কবি ও লেখক ড. শহীদুল্লাহ্ আনসারী, বিশিষ্ট সাহিত্যানুরাগী শিহাব রিফাত আলম, ভারতের বিশিষ্ট কবি ডা. অভিজিৎ পাল, বাংলাদেশের সংগঠক মো. আল আমিন শাওন ও মো. ছানাউল্লাহ।
বিকেলের অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. জাকির হোসেন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ.টি.এম মমতাজুল করিম।
আরও পড়ুন: জিআই পণ্য নিয়ে তৎপর হওয়ার নির্দেশ
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান, অধ্যাপক সামিউল বাশির, ড. রতন কুমার বাড়ুই, ডা. শিশির নস্কর, এডভোকেট আদম শফি খান ও উপসচিব আল আমিন।
উপস্থাপনায় ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ভারতের জনপ্রিয় উপস্থাপিকা সর্বানী চ্যার্টাজি এবং নিপা আক্তার।
এছাড়া বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, আমেরিকা, লন্ডনসহ দেশ-বিদেশের অনেক কবি, সাহিত্যিক, গবেষক উপস্থিত হয়ে কবিতা আবৃত্তি, গান করেন ও বক্তব্য রাখেন।
সভার শুরুতে সকল কবি ও অতিথিদের লালগালিচা সংবর্ধনা, উত্তরীয় ও মেডেল পড়িয়ে দিয়ে বরণ করা হয়। তারপর বাংলাদেশ, ভারত ও আমেরিকার পতাকা উত্তোলন এবং স্ব স্ব দেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য বিভিন্ন দেশের গুণী, আলোকিত, মানবিক কবি ও সংগঠকদের স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।
সান নিউজ/এনজে