নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুজিববর্ষ ঘিরে দেশেজুড়ে চলছে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ। বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলাও থাকছে মুজিববর্ষের নানা আয়োজন। ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে বইমেলা সাজানো হবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। এবারের মেলা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করা হবে। গতবারের মতো এবারও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফেব্রুয়ারি মাসব্যাপী মেলা চলবে। ২ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে একাডেমির সাহিত্য বিশারদ আব্দুল করিম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবিবুল্লাহ সিরাজী।
মেলায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও লেখালেখি, তার জীবন ও কর্ম নানাভাবে উপস্থাপন করা হবে। ২৯ দিনের এ মেলার ২৬ দিনই বাংলা একাডেমির মঞ্চে থাকবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা। পহেলা ফেব্রুয়ারি বইমেলার প্রথম দিনে একাডেমি প্রকাশ করবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লেখা বই ‘আমার দেখা নয়া চীন’।
লিখিত বক্তব্যে মেলা পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলা একাডেমির পরিচালক জালাল আহমেদ বলেন, এবারের মেলায় সৃজনশীল প্রকাশনা সংস্থাগুলো থাকবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে। যেখানে ৪৩৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৬৯৮টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি অংশে ১২৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭৯টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সবমিলে ৫৬০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৭৩টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি বাংলা একাডেমিসহ ৩৩টি প্রকাশনা সংস্থাকে ৩৪টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে লিটল ম্যাগ চত্বর থাকছে। একই স্থানে শিশু চত্বর তৈরি করা হয়েছে। মেলা চলাকালীন শিশুপ্রহর ঘোষণা হবে। মেলায় বাংলা একাডেমিসহ অংশগ্রহণকারী সব প্রতিষ্ঠান ২৫ শতাংশ কমিশনে বই বিক্রি করবে। করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিষয়ে এবারের একুশে গ্রন্থমেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে তিনটি পথ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশ ও বাইরের মোট ৬টি পথ থাকবে। বিশেষ দিনগুলোতে লেখক, সাংবাদিক, প্রকাশক, বাংলা একাডেমির ফেলো এবং রাষ্ট্রীয় সম্মাননাপ্রাপ্ত নাগরিকদের জন্য প্রবেশের বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে।
গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নিরাপত্তাকর্মীবৃন্দ। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩ শতাধিক ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।