সান নিউজ ডেস্ক: আজ ২২শে শ্রাবণ, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২ তম প্রয়াণ দিবস। দিনটি উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: আহমদ ছফা’র প্রয়াণ
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতার এবং বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বিশেষ অনুষ্ঠানমালা ও নাটক প্রচার করবে।
শান্তি নিকেতনে রবীন্দ্রনাথের শেষের দিনগুলোতে কখনো তিনি শয্যাশায়ী, কখনো আবার মন্দের ভালো।
রবীন্দ্রজীবনী থেকে জানা যায়, মৃত্যুর ৭ দিন আগে পর্যন্তও কবি সৃষ্টিশীল ছিলেন। জোড়াসাঁকোতে রোগ শয্যায় শুয়ে শুয়ে তিনি বলতেন আর রানি চন্দ লিখে রাখতেন। কবিতা বলতে বলতে ক্রমশ ক্লান্ত হয়ে পড়ছিলেন কবি।
আরও পড়ুন: আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ’র জন্ম
১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই (৯ শ্রাবণ) তিনি শান্তি নিকেতনে আশ্রমের বালক-বালিকাদের ভোরের সংগীত অর্ঘ্য গ্রহণ করেন তার উদয়ন গৃহের পূর্বের জানালার কাছে বসে।
উদয়নের প্রবেশদ্বার থেকে ছেলে-মেয়েরা গেয়ে ওঠেন কবিরই লেখা- ‘এ দিন আজি কোন ঘরে গো খুলে দিল দ্বার, আজি প্রাতে সূর্য ওঠা সফল হলো আজ’।
রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাত কুমার মুখোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘শান্তি নিকেতনে কবি এর মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দেহ আর চলছিল না। চিকিৎসার ও সেবারও ত্রুটি নেই। অবশেষে ডাক্তাররা পরামর্শ করে ঠিক করলেন, অপারেশন ছাড়া উপায় নেই।’
আরও পড়ুন: প্যারীচাঁদ মিত্র’র জন্ম
ঐ দিন শান্তি নিকেতন থেকে কবিকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হলো। শান্তি নিকেতনের সাথে অনেক বছরের স্মৃতি জড়িত কবি কী বুঝতে পেরেছিলেন এই তার শেষ যাত্রা? যাবার সময় দেখা গেছে, চোখে রুমাল দিচ্ছেন।
৩০ জুলাই জোড়াসাঁকোর বাড়িতে তার শরীরে অস্ত্রোপচার হলো। এর কিছু পূর্বে তিনি তার শেষ কবিতা রচনা করেন- ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি, বিচিত্র ছলনাজালে হে ছলনাময়ী।’
আরও পড়ুন: হুমায়ূন আহমেদ’র প্রয়াণ
দিনটা ছিল কবির শেষ বিদায়ের দিন কয়েক আগে (১৪ শ্রাবণ)। রানি চন্দ সে দিন সূত্রধরের মতো লিখেও নেন রবীন্দ্রনাথ উবাচ কবিতাটি- ‘তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি’।
অস্ত্রোপচার নিষ্ফল হলো। অবস্থা দ্রুত মন্দের দিকে যেতে লাগল। জ্ঞান হারালেন তিনি।
কবির শেষ নিশ্বাস পড়ল। সে দিন রাখী পূর্ণিমার দিন, বাংলা ১৩৪৮ সালের ২২ শে শ্রাবণ, জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির ঘড়িতে তখন দুপুর ১২ টা বেজে ১০ মিনিট।
সান নিউজ/এনজে