সাননিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার দেশের আধুনিক শিল্পকলার পথিকৃত্ শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৭তম জন্মবার্ষিকী ও ১০৮তম জন্মদিন। ১৯১৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন এই পথিকৃত্ চিত্রশিল্পী।
তারই শ্রমসাধ্য প্রচেষ্টায় যাত্রা শুরু করে এ দেশের চারুকলা। আপন মনন ও সৃজনশীলতার স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যে বিকশিত করেছেন বাংলার চিত্রকলার ভুবনকে। অনন্য সব শিল্প সৃষ্টি করে বিশ্বসভায় তুলে ধরেছেন বাংলাদেশের শিল্প ও সংস্কৃতিকে। আলোকবর্তিকা হয়ে শিল্পের পথ দেখিয়েছেন প্রকৃতি ও মানুষের ছবি আঁকা এই চিত্রকর।
অনুমান করা হয় তার চিত্রকর্মের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি।তার উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম হলো সংগ্রাম,ম্যাডোনা ৪৩,মনপুরা ৭০, নবান্ন, বিদ্রোহী গরু, সাঁওতাল রমণী ইত্যাদি।
বরাবরের মতো শিল্পাচার্যের জন্মদিন উপলক্ষে জয়নুল উত্সবের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ। আজ বুধবার সকালে অনুষদ প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী জয়নুল উত্সব ও জয়নুল মেলার উদ্বোধন হবে। এবার জয়নুল মেলায় অনুষদের আয়োজনে সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। সকালে উত্সব উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতিসচিব মো. আবুল মনসুর।
বিশেষ অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ এবং শিল্পাচার্যপুত্র খায়রুল আবেদিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রদান করা হবে জয়নুল সম্মাননা। চারুকলা শিক্ষা বিস্তারে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এই সম্মাননা প্রদান করা হবে প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী আবদুস শাকুর শাহ এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় শিল্প-ইতিহাসবিদ রমন শিব কুমারকে।
দিনব্যাপী জয়নুল মেলার পাশাপাশি তিন দিনের উত্সবে বিকেলে থাকবে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। উত্সবের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পাতিবার পটুয়া কামরুল হাসানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে তাকে নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। জয়নুল আবেদিনের একজন সার্থক ছাত্র ও সহকর্মী হিসেবে কামরুল হাসানের মূল্যায়নধর্মী আলোচনা করবেন চারুকলা অনুষদেন ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ও শিল্পী ঢালি আল মামুন।
সাননিউজ/এএএ