পি আর প্ল্যাসিড
আরিফ সরকার। ছেলে হিসেবে অন্যদের কাছে যেমনই হোক, মিতুলের সাথে খুবই আন্তরিক। বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরে। মিতুলের সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় বাংলাদেশিদের এক অনুষ্ঠানে। মিতুলকে ডেকে কফি খাইয়েছিল সেদিন সে। এজন্য মিতুল তাকে গুরুত্ব দেয়।
একদিন মিতুলের ঘরের ফোনে ফোন করে যে কোনো এক ছুটির দিনে কোথাও দেখা করতে বললো আরিফ। মিতুল তার কথা বরখেলাপ না করে একদিন সময় করে টোকিওর তোশিমা ওয়ার্ডের ইকেব্যুকোরো স্টেশনের কাছে নিশি গুচি পার্কে দেখা করে। সেদিনও আরিফ তাকে ডেকে নিয়ে যায় কফি হাউজে। কেনো আরিফ মিতুলকে এতোটা গুরুত্ব দিয়ে ডেকে এনে কফি খাওয়ায় সেটা মিতুল বুঝতে পারে না। কফি হাউজে বসে মিতুলকে কফি খাওয়ায় আর কৌশলে মিতুলের ব্যক্তিগত বিষয় জেনে নেয়।
আগেই মিতুল তাকে অনুরোধ করে বলেছিলো কোথাও তার একটি কাজ দরকার। তাই তাকে যেন কোথাও ভালো বেতনে একটা চাকরি ঠিক করে দেয়। এবারেও সে অনুরোধ করে বললো তার চাকরির কথা, চাকরির বিষয়টি যেন ভুলে না যায় সে। তাই আরিফ সরকার বললো, আমার সে-ই প্রথম দিনের কথা মনে আছে। আপনি যে আমাকে একটা চাকরির কথা বলেছিলেন, তা ভুলিনি। সেজন্যই আপনাকে আজকে এখানে আসতে বলা। আমি যেহেতু আপনার সম্পর্কে কোনো কিছু জানি না, তাই জেনে নিলাম। না জেনে তো কাউকে আর কারো কাছে কাজের কথা বলতে পারি না।
মিতুল ভদ্রভাবে বললো, ঠিক আছে, আপনি আমার সম্পর্কে আর কি জানতে চান, বলেন। চাকরির জন্য হলে আমি সবই বলবো।
মিতুলের কথায় আরিফ এক গাল হেসে মুখে কফি নিয়ে বললো,- আমি যে ফ্যাক্টরিতে কাজ করছি একই ফ্যাক্টরিতে আমার মালিককে আপনার কাজের বিষয়ে অনুরোধ করেছি। দুই একদিনের মধ্যে আমি আপনাকে একটা ভালো সংবাদ দিতে পারবো আশা করি।
আরিফের এমন কথায় মিতুল বেশ খুশি হয়। পারলে তাকে মাথায় নিয়ে নাচে এমন আনন্দ হয় মিতুলের তখন।
মিতুল তার নিজের সম্পর্কে যেটুকু বলার তার বেশি তাকে বলেনি। আরিফ ধরেই নেয় মিতুলের বাড়িও তার একই এলাকায়। কারণ তার ধারণা জাপানে যেহেতু অধিকাংশ বাংলাদেশি মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর এলাকার। সুতরাং মিতুলের বাড়িও একই এলাকায় হবে হয়তো। তা ছাড়া মিতুলের কথার সাথে তাদের কথার কিছুটা মিল রয়েছে। কথা বলার টোনও একই ধরনের, তাই। আরও একটি বিষয়, যখন আরিফ সরকার জানতে পারে যে মিতুল বাংলাদেশে বিরানব্বই শতাংশ লোক যে ধর্মে বিশ্বাসী মিতুল তাদের মধ্যে সেই একই সম্প্রদায়ের নয়। এজন্য সে প্রথম শোনার পর অনেক অবাক হয়। আরিফের ধারণা ছিলো না যে বাংলাদেশে কোনো খ্রিস্টান লোক আছে। বিষয়টি মিতুল না বললেও সে অন্য কারো কাছ থেকে জেনেছে। তাই বিপরীতে আরিফের কাছে মিতুলের গ্রহণ যোগ্যতা আরো বেড়ে যায়। আরিফ বলেছেও, আপনি যদি আমাদের ধর্মের হতেন তাহলে অন্য কোথাও চাকরি দিলেও আমার একই কোম্পানিতে অন্তত দিতাম না।
বিদায় নিয়ে যাবার সময় আরিফ বললো,- ছবিসহ তার একটা বায়োডাটা লিখে রেডি করে রাখার জন্য। যে কোনোদিন তার সাথে তাকে ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যেতে হতে পারে। ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাবার পর মালিককে তার বায়োডাটা দিতে হবে। কাজের বিষয় আলোচনা করে আরিফ সেদিন আর বেশি দেরি করে না। মিতুলকে বাসায় চলে যেতে বলে সেও চলে যায় তার বাসার উদ্দেশে।
দু'জনই ইকেব্যুকোরো স্টেশনের খুব কাছাকাছিই থাকে। যে কারণে হেঁটেই বাসায় যাবার উদ্দেশে দু'জন একসাথে কিছুদূর পর্যন্ত গিয়ে আলাদা পথে চলে যায় তারা।
মিতুল হেঁটে তার বাসায় যাবার সময় মাঝপথে একটা বিল্ডিংয়ের সামনে বড় ক্রস দেখতে পায়। ক্রস দেখে কিছুটা আগ্রহ নিয়ে সেই বিল্ডিংয়ের দিকে এগিয়ে যায়। সামনে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কিছু সময় গেইট ধরে দাঁড়িয়ে থেকে যখন কাউকে সে দেখতে পাচ্ছিলো না তখন গেট ধাক্কা দিয়ে নিজে থেকে বিল্ডিং এরিয়ার ভিতরে ঢুকে যায়।
ভিতরে ঢুকে মিতুল এদিক-ওদিক তাকায়। ভিতরে ঢুকেও কাউকে আর দেখতে পায় না সে। এরপর বড় এক লম্বা ঘর দেখে সেদিকে এগিয়ে গিয়ে তার একটা দরজা ঠেলে ভিতরে যায়। ভিতরে ঢুকতেই সে বুঝতে পারে এটা প্রার্থনালয়। কিন্তু সে দেশে যেমনটা দেখে এসেছে তার সাথে এর তেমন কোনো মিল নেই। কিছুটা ভিতরে গিয়ে উঁকিঝুঁকি মেরে দেখে। তার কাছে এই প্রার্থনালয় অন্য ধাচের মনে হয়। তাই কোনো কিছু না বুঝে আবার সে বাইরে বেরিয়ে আসে। এসে সামনেই ছোট বাগানের মতো খালি জায়গা, সেখানে বাচ্চাদের খেলার পরিবেশ এবং বসার স্থান রয়েছে। মিতুল সেদিকে এগিয়ে যায়। সেদিকে এগিয়ে গিয়ে একটা খালি বেঞ্চে বসে।
একসময় এক বয়স্ক মহিলা সামনে দিয়ে যাবার সময় মিতুলকে দেখে মাথা নুইয়ে বললেন,- কনিচিউয়া। এতে মিতুলও উত্তর দেয় একইভাবে মাথা নুইয়ে, কনিচিউয়া বলে। মহিলা দুই কদম এগিয়ে গিয়ে আবার ফিরে তাকায় মিতুলের দিকে। তাকিয়ে প্রশ্ন করেন,- নিহংগ দাইজোবু দেসকা?
মিতুল খুব নমনীয়ভাবে মহিলার প্রশ্নের উত্তর দেয়,- দাইজোবু দেসকা।
জাপানি ভাষায় কথা বলে দু'জনে। কথা বলে মহিলা প্রশংসা করে বলেন,- তুমি খুব ভালো ভাষা বলতে পারো। তুমি কি ছাত্র নাকি? পড়াশোনা করছো এখানে কোথাও?
- কিছুদিন করেছি, এখন আর করি না।
বলেই মিতুল উঠে দাঁড়ায়। জাপানে আজকাল অনেক বিদেশির প্রবেশ ঘটছে। এতোটাই বেশি পরিমাণ আসতে শুরু করেছে যে, রাস্তাঘাটে বিদেশিদের চলা-ফেরাও অনেক বেড়ে যায়। বিদেশিদের অনেকে ভাষা না জানার কারণে কোথাও কোনো কাজ পাচ্ছে না সহজে। অনেকের আবার থাকার সমস্যা। তাই রাস্তা, পার্ক, স্টেশন সর্বত্র তাদের উন্মুক্ত চলাফেরা। জাপান খুব ব্যয় বহুল দেশ। যে কারণে জাপানে আসার সময় অনেকে সাথে করে যে অর্থ নিয়ে আসে তা শেষ হয়ে যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যে। শুরু হয় তাদের অভাব। তাদের এই অভাব এবং বেকারত্বের কারণে জাপানে কিছু বিদেশি সংঘবদ্ধ হয়ে নানা ক্রাইম করতে শুরু করে।
ক্রাইমের পরিমাণ যখন উল্লেখ করার মতো বেড়ে যায় তখন বিষয়গুলো বিভিন্ন মিডিয়াতে প্রচার হতে শুরু করে। মিডিয়াতে প্রচার হবার ফলে অনেক জাপানি বিদেশিদের সম্পর্কে সচেতন হয় আবার অনেকে এসব বিষয় খুব একটা খেয়াল করে না। খেয়াল করলেও সবাই তা গুরুত্ব দিয়ে ভাবে না। যে কারণে কিছুদিন আগেও জাপানিদের কাছে যে বিদেশিদের সম্পর্কে ধারণা ভালো ছিল, তা এখন আর তেমনটা নেই। একারণেই এই মহিলার কাছে এখনও মনে হয় বিদেশিদের ইমেজ অনেক ভালো। মিতুলকে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বাউন্ডারির ভিতরে তাকে বসে থাকতে দেখে মিতুলের সাথে বেশ আগ্রহ নিয়ে কথা বলেন এই মহিলা।
কথা বলে মহিলা তাকে কাছেই রাস্তার ধারে থাকা ভ্যান্ডিং মেশিন থেকে একটা জুসের ক্যান কিনে এনে দিয়ে জানতে চাইলেন, মিতুল কোথায় থাকে?
মিতুল জানায়, কাছেই তার বাসা। এরপর তারা বেঞ্চে বসে কথা বলে কয়েক মিনিট। মহিলা মিতুল সম্পর্কে কিছু তথ্য জানার পর বললেন, প্রতি রোববার এখানে প্রার্থনা হয়। অনেক লোক এখানে আসে প্রার্থনা করতে। দুপুরে সবাই এক সাথে লাঞ্চ করে। চাইলে সেও আসতে পারে, আসলে তার ভালো লাগবে। মহিলার এমন কথা শুনে মিতুলের আগ্রহ হয় আসার। পরের রোববার মিতুল আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিদায় নিয়ে চলে যায় তার বাসায়।
পরের রোববার মিতুল সেখানে যায়। গিয়ে দেখে সেই মহিলা গেইটে দাঁড়িয়ে বাবা মা-দের সাথে আসা বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের প্রত্যেককে চকলেট ধরিয়ে দিচ্ছে। কাছেই একটি তাবু টানানো। সেখানে কয়েকজন ছেলে-মেয়ে প্রার্থনা করতে আসাদের মধ্যে কফি বিতরণ করছে। যাদের কফি খাওয়ার ইচ্ছে তারা এগিয়ে গিয়ে কফি নিয়ে সেখানেই দাঁড়িয়ে খাচ্ছে আর পরিচিতদের সাথে গল্প করছে। প্রার্থনা শুরু হতে এখনো কিছুটা সময় বাকি।
সময় হলে প্রার্থনাসভা শুরু হবে। এখানে রোববারের প্রার্থনা সভার আয়োজন দেখে মিতুলের কাছে বেশ ভালো লাগে। শুরু হবার আগেই সে তাদের এমন আতিথেয়তা দেখে আকৃষ্ট হয়।
সেদিন দেখা হওয়া সেই মহিলা মিতুলকে দেখে বাচ্চাদের চকলেট বিলি করা বাদ রেখে দৌড়ে আসেন মিতুলের দিকে। মিতুলের সাথে মহিলাকে এভাবে কথা বলতে দেখে অনেকেই এগিয়ে আসেন সামনে। এসে মিতুলের সাথে পরিচিত হন। তাকে পেয়ে অনেকেই বেশ একসাইটেড হতে থাকেন। যেহেতু রোববার দিন সকলে এখানে এসে জড়ো হচ্ছেন প্রার্থনা করতে সুতরাং মিতুলের কাছে অনেকটা পরিষ্কার হয় যে, এদের সকলেই এখানে খ্রিষ্টান ধর্মালম্বীর তবে মিতুলের মতো এরা ক্যাথলিক নয়। এরপর মিতুলকে তাদের সংগঠনের সদস্য করে নেবার জন্য মহিলা তাবুর একজনকে ডেকে বললেন। আপাতত মিতুলকে কফি দিতে বলে প্রার্থনা শেষ হলে তাকে নিয়ে যেন অফিস কক্ষে বসানো হয়, তাই অনুরোধ করলেন। তখনই তাবুর ভিতর থেকে এক মহিলা মিতুলকে সেখানে একটি চেয়ার চেনে দিয়ে চেয়ারে বসিয়ে তাকে দিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণ করিয়ে নিলেন। এরপর অনুরোধ করে বললেন তার সাথে প্রার্থনালয়ের ভিতরে যেতে।
এর মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন বিদেশি ছেলে মেয়ে সেখানে আসে। তারাও মিতুলকে পেয়ে অনেকটা খুশি হয়। কয়েকজন অল্প বয়সি মেয়ে সেখানে এসে মিতুলের সাথে এমনভাবে কথা বলে যেন তারা অনেক দিনের পুরোনো পরিচিত। জাপানে এটা কম বেশি সব বিদেশিদের মধ্যেই মিতুল লক্ষ্য করে। জাপানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় অনেক বিদেশি শ্রমিক বৈষম্যের শিকার হয়। তাই জাপানিদের কাজ-কর্মে বিদেশিদের সাথে করা নানা ধরনের আচরণের কারণে এমনটা হতে পারে।
এ সকল কারণে বিদেশিদের অনেকেই জাপানিদের পছন্দ করে না। বিদেশি কয়েকজন একত্র হলে জাপানিদের এই বৈষম্যের বিষয় নিয়ে সমালোচনার ঝড় তোলে। এখানেও মিতুলকে পেয়ে মেয়ে ক'জন এগিয়ে এসে প্রশ্ন করে, মিতুল এখানে থাকে কোথায়, কাজ করে কোথায়, বেতন ঠিক মতো পাচ্ছে কিনা? বেতন ঠিক মতো না পেলে বা জাপানিদের দ্বারা কোনো ধরনের বৈষম্যের শিকার হলে তাদের একটি ভলেন্টিয়ার সংগঠন রয়েছে, এই সংগঠনের কাজই হচ্ছে বিদেশিদের যে কোনো সমস্যায় সহায়তা দেয়া, তাই মিতুলের কোনো সমস্যা থাকলে তারা তাকে সহযোগিতা করতে চায়। তারা এটাও বললো, এই প্রতিষ্ঠানে অনেক জাপানিজ লয়ার, শিক্ষক এবং বিভিন্ন পেশার লোক আসেন যারা জাপানে বিদেশিদের স্বার্থ নিয়ে কাজ করেন। আজ এসে ভালো করেছে মিতুল। কারণ আজ তাদের সভা রয়েছে। সেখানে মিতুলকে উপস্থিত থাকার কথা বলে ওরা।
সেদিন মিতুল সবার সাথে প্রার্থনাসভায় যোগদান করে। প্রার্থনাসভা চলাকালে মিতুলকে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন সেই মহিলা। তখনই মিতুল বুঝতে পারে সেই মহিলা যে উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন বড় কর্তা। সভার এক পর্যায় মহিলা প্রার্থনা সভায় ধর্মীয় বিষয় ব্যাখ্যা করেন। এরপর সভা শেষ হলে মিতুলকে অফিস কক্ষে নিয়ে আবার নতুন করে তাদের সদস্য ফরম পূরণ করানো হয়। ফরম পূরণের পর তাদের নির্ধারিত একটা ফি তার কাছে চেয়ে নেয়া হয়। সদস্য ফি নেয়ার মাধ্যমে তাকে একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাদের তালিকা ভুক্ত করা হয়। বিনিময়ে সেদিন অনেকগুলো গিফট দেয়া হয় তাকে।
সদস্য হবার পর তাদের সেই এন পি ও-র সভা স্থলে নিয়ে মিতুলকে যোগ দেয়ানো হয়। সেখানে সবার আলাপ-আলোচনা শুনে মিতুলের কাছে বেশ ভালো লাগে। ফিলিপিনো মেয়েগুলো তাদের দেশের জন্য নানা ধরনের ভলেন্টিয়ারি কাজ করছে। বিষয়গুলো শুনে মিতুল মনে মনেভাবে ফিলিপিনো মেয়েগুলোর মতো সেও বাংলাদেশিদের নিয়ে দেশে গরিবদের জন্য সেবামূলক কাজ করা শুরু করবে। এজন্য সেও জাপানে একটি এন পি ও প্রতিষ্ঠা করবে।
মিতুল কথা বলে জানতে পারে, সেখানে সভায় জাপানি যারা উপস্থিত হয়েছেন এদের প্রায় প্রত্যেকেই প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং ডোনার। জানার পর মিতুল ফিলিপিনো মেয়েগুলোর সহায়তা নিয়ে ওরা যেভাবে কাজ করে সেও সেভাবে কাজ করার কথা ভাবে। এমনকি তাদের মতো করে এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসবে। আসতে আসতে সবার সাথে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে তখন সেও এই প্রতিষ্ঠান কেন্দ্রীক এন পি ও প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। এন পি ও প্রতিষ্ঠা করলে সেটার কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে ফান্ড কালেকশন করতে পারবে যা দিয়ে সহজে বাংলাদেশে নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করতে পারবে।
সেবামূলক এই কাজ করলে তাকে আর জাপানে শ্রমিকের কাজ করতে হবে না। উপরন্তু দেশে জাপানি ডোনারদের নিয়ে আসা যাওয়া করতে পারবে এবং তাদের দিয়েই দেশ ও দেশের মানুষদের কাজ করতে পারবে সে। সেটাই হবে তার জন্য সবচেয়ে ভালো এবং সম্মানজনক কাজ।
এরপর সবার সাথে ব্যক্তিগতভাবে আবার পরিচিত হয়। শেষে আলাপ আলোচনা করে লাঞ্চ করা পর্যন্ত সেখানে থাকে মিতুল। থেকে, দুপুরের পর এনিয়ে তার পরবর্তী কাজের বিষয় চিন্তা করতে করতে চলে যায় বাসায়।
(চলবে)
লেখক: জাপান প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক।