শিল্প ও সাহিত্য
জাপানের গল্প - ৪

অন্যায় কাজের ফল  

পি আর প্ল্যাসিড

মিতুল একদিন কি মনে করে হঠাৎ করেই তার চাকরি ছেড়ে দেয়। চাকরি ছাড়া মানে তার বাসা ছাড়া, পাশাপাশি ভিসার মেয়াদ বাড়ানো বন্ধ। ফলে যেখানে ভাষা শিখছিলো, সেখানেও নিয়মিত যাওয়া বন্ধ করে দেয়। পিছনে তার কিছুটা ভয় কাজ করে মনে, যদি কোন সমস্যা হয় এখানে তার, তাই। অন্যদিকে ভিসা কেটে যাওয়ায় টোকিওতে ফ্রি চলা-ফেরায় যেখানে তার আরো বেশি ভয় হবার কথা সেখানে সাহস বেড়ে যায়। এখন আর তাকে ইমিগ্রেশন পুলিশ ধরবে বা ধরে দেশে পাঠিয়ে দিবে এমন ভয় একদম দূর হয়ে যায় মন থেকে।

বাংলাদেশিদের কোথাও কোনো অনুষ্ঠান হবার কথা শুনলে সে দৌড়ে ছুটে যায় অংশ নিতে। আর, কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়া মানে তার শত শত বাংলাদেশির সাথে দেখা এবং পরিচিত হওয়া। বিভিন্ন জনের সাথে পরিচয় হলে তারা তাকে নানান ধরনের পরামর্শ দেয়। এতে মিতুল বেশ অভিজ্ঞের মতো করে সবার সাথে কথা বলে তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে শুরু করে। সে মনে মনে ভাবে এখানে বৈধ থাকলে মাসে যদি রোজগার করে বাংলাদেশি মুদ্রায় দুই লাখ টাকা, অবৈধভাবে থেকে রোজগার করতে পারবে তার চেয়ে আরো বেশি। সুতরাং হাজার হাজার বাংলাদেশি যেখানে ভিসা বিহীনভাবে থেকে কাজ করছে, তাদের কোনো ধরনের সমস্যাই হয় না। সুতরাং সেও আর ইমিগ্রেশনে যাবে না ভিসা এক্সটেনশন করাতে। যে-ই ভাবা, সে-ই কাজ।

সত্যি সত্যি এক সময় সে ভিসাবিহীন হয়ে যায়। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবার কিছুদিন পর পর্যন্ত সে রাস্তায় বের হতে সাহস না পেলেও সব কিছুই এক সময় আবার ঠিক হয়ে যায়। বিষয়টি তার সাহসের বিষয় না হলেও নিজে নিজে অনেক চিন্তা করেছে, সে কাজটি সঠিক করছে নাকি অন্যায় করছে। তখনই তার অনুশোচনা হয়। কিন্তু অনুশোচনা হলেও জিতে যায় অন্য বাঙালিদের মতো অন্যায় কাজ করার পক্ষে।

ভিসা কেটে যাবার পর বেশ কিছুদিন সে এদিক-সেদিক বিভিন্ন বাংলাদেশিদের বাসায় গিয়ে কারো সাথে শেয়ারে থাকে। হাতে তার জমানো কিছু টাকা ছিলো তা দিয়ে খরচ চালালেও এই টাকা তার ক্রমেই কমে আসছিলো। বসে খেতে খেতে একেবারে হাত শূন্য হয়ে যাবার আগেই সে আবার নতুন কাজ খুঁজতে শুরু করে। কিন্তু কোথাও সে আর কাজ পায় না। এমনকি যারা টাকার বিনিময়ে কাজ দেয় তাদের কেউ কাজ ঠিক করে দিতে পারে না।

মিতুল মনে মনে ভাবে, এই যে হাজার হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে, ওরা এখানে কাজ করছে কি করে? তার বেলাতেই কেবল ভিসা না থাকার কারণে ফিরিয়ে দেয় কেনো? বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য ইন্টারভিউ দিতে গেলে কাজে রাখতে অস্বীকৃতি জানায় কেনো?

একদিন কয়েকজন বাংলাদেশিকে একটি ফার্স্টফুডের দোকান ম্যাগডোনাল্ডে বসে থাকতে দেখে ওদের কাছে এগিয়ে যায় মিতুল পরিচিত হয়ে কথা বলতে। গিয়ে দেখে এক লোক টেবিলের উপর অনেকগুলো ফটোকপি করা কাগজ আর আঠা নিয়ে বসে আছেন। একটু পর পাশে রাখা কালো এক ব্যাগ থেকে ছোট সাইজের কেচি বের করে টেবিলে রেখে একজনকে বলল, - এই সবার জন্য যাও কফি নিয়ে আসো আর সাথে কিছু খেতে চাইলে নিয়ে আসো।
মিতুল কোনো কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই লোকটি বলল, - এ আবার কোন আদম? এই তুমি কার লোক?
- আমি কারো লোক না। আমি আমারই লোক। আপনারা এখানে বাংলায় কথা বলছেন শুনে আসলাম পরিচয় হতে।
- জাপানে নতুন আসছো নাকি?
- জি, এক বছর হয়।
- থাকো কোথায়? আর কাজ করো কোথায়?
- আমার কাজ নেই এখন। থাকি বিভিন্ন জনের বাসায়।
- এই এলাকাতে কারো সাথে আছো নাকি?

মিতুল তার নিজের সম্পর্কে বিস্তারিত বলে বললো, - যদি সম্ভব হয় তাকে যেন একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়।
লোকটি সবার সামনে মিতুলকে বললো, - তুমি এখানে একটু বসো। আমার হাতের কাজটি সেরে তোমার সাথে কথা বলি। বলেই আগে যাকে কফি আনার জন্য টাকা দিয়েছে তাকে বললো, - এই, এই নতুন আদমের জন্য কফি নিয়ে আসো।

মিতুল লোকটির মুখে কথায় কথায় আদম কথাটি শুনে মনে মনে ক্ষেপে যায়। ভাবে, পাশে রাখা চেয়ার তুলে দিবে বাড়ি। কিন্তু এসময় কোনো ঝামেলায় গেলে তার চাকরির কোনো ব্যবস্থা হবে না মনে করে সে তার সম্পর্কে উল্টো জানার চেষ্টা করে, কে এই লোক। কি তার ব্যবসা বা পেশা। কেনোই বা এতোগুলো লোককে সাথে নিয়ে এখানে সে বসেছে। এরপর পাশের টেবিলে বসে লোকটির কথা খেয়াল করে শোনে।

লোকটি জাপানে বিভিন্ন লোককে চাকরি পাইয়ে দেয়। এটাই তার পেশা বা ব্যবসা। তাও যে কাজটি সে করে, তা হচ্ছে এখানে যাদের ভিসা আছে তাদের পাসপোর্ট ফটোকপি করে সেটার সাথে যাদের ভিসা নেই তাদের পাসপোর্টের ফটোকপি কেটে সুন্দর করে আঠা দিয়ে লাগিয়ে পুনরায় ফটোকপি করে। এরপর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মালিকদের কাছে নিয়ে লোকদের কাজের জন্য পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলে তাদের সকলের ভিসা আছে। ভিসার কোন সমস্যা নেই। মালিক তার কথায় রাজি হলে মালিককে তার বানানো এই কাগজ জমা দেয়। এভাবে, দুই নম্বরি কাগজের মাধ্যমে মিথ্যা কথা বলে নিরীহ বিদেশিদের চাকরি দেয়। এতে করে যেই লোককে সে চাকরি দিচ্ছে তাদের কাছ থেকে বেতন এবং সুবিধার উপর ভিত্তি করে একটা টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করে। যা কাজে যোগদানের আগে কিছু অগ্রিম এবং প্রথম বেতন পেয়ে দিতে হয় তাকে। এটাই তার জাপানে মূল ব্যবসা। এই করেই খায় আর দেশে তার পরিবারকে সুখে রাখার ব্যবস্থা করে।

মিতুল দেখে, সেখানেই বসা ছিলো প্রায় পাঁচ-ছয়জন লোক। তাদের কারোই ভিসা নেই। সবাইকে মিথ্যে জাল কাগজ বানিয়ে জাপানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হচ্ছে এবং এই লোকদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছ থেকেও ভালো অঙ্কের টাকা নিয়ে থাকে সে দালালি হিসেবে।

মিতুল হিসেব করে দেখে প্রতিমাসে সে যদি গড়ে ত্রিশ জনকে কাজের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিচয় করিয়ে দেয় তাহলেও প্রায় পঞ্চাশ হাজার ইউ এস ডলার ইনকাম করছে। কিন্তু পুরোটাই অন্যায়ভাবে উপার্জন তার। জাপানের পুলিশ যদি বিষয়টা জানতে পারে তাহলে নির্ঘাৎ তাকে গ্রেফতার করবে। এটাতে মিতুল মনে মনে ভাবে, সে কি তার মাধ্যমেই চাকরি নেবে নাকি তার থেকে দূরে থাকবে। এমনিতেই তাকে আদম বলায় ভিতরে ভিতরে লোকটির উপর মিতুলের রাগ হয়। তার উপর জেনে শুনে এই দুই নম্বরি করা। মন যেন তার সায় দেয় না।

আলাপের পর মিতুল বুঝতে পারে জাপানে যে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশি রয়েছে তাদের অধিকাংশ এইভাবে যে জাল কাগজপত্র তৈরি করে চাকরি নিয়েছে এবং যার মূল হোতা এই লোক। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক মনে মনে নানা কথা ভাবে। এমনিতেই সে জাপানে আছে ভিসাবিহীনভাবে, এটাই তার জন্য বড় অপরাধ। পুলিশ বা ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে এমনিতেই ভিসা না থাকার কারণে ধরতে পারে। তার উপর এধরনের জালিয়াতির। জন্য জেল হাজত হতে পারে।

জাপানে সে কনফারেন্সে এসে পালিয়েছে, সেটা তার প্রথম অপরাধ। তার মধ্যে এমন জাল কাগজ বানিয়ে কোথাও কাজে যোগদান করার পর সেটা যদি জানাজানি হয় তাহলে সেটা হবে আরো বড় অপরাধ যা আইনের দৃষ্টিতে বড় এক ক্রাইম। ধরা পড়লে এটা ক্রিমিনাল কেস হয়ে যেতে পারে মনে করে মিতুল আর লোকটির কথায় গুরুত্ব দেয় না।
সব কিছু বোঝার পরেও ভিতরের খবর জানতে মিতুল লোকটির সাথে কথা বলার জন্য পাশের টেবিলে চুপচাপ বসে কথা শুনতে থাকে আর জাপানে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবে। এর মধ্যে দু'জন আলাদা ট্রেতে করে সবার জন্য কফি এবং ফ্রাইড পটেটো নিয়ে আসে। দু'জনই তাদের হাতের খাবারের ট্রে পাশের টেবিলে যেখানে মিতুল বসে আছে সেই টেবিলের উপর রাখে।
লোকটি তার হাতের কাজ এক দিকে সরিয়ে রেখে মিতুলকে তার সামনে ডেকে বসতে বলে বলল, - এখানে যারা আছে সবাইকে কালকে অর্থাৎ পরেরদিন এক কোম্পানিতে কাজে লাগানো হচ্ছে। তাই মিতুলকে বলল, - তুমি চাইলে ওদের সাথে একই প্রতিষ্ঠানে কাজে যেতে পারো। তবে আমাকে এই জন্য দিতে হবে দেড় হাজার ডলার।
এতো টাকা তখন মিতুলের হাতে নগদ নেই। তাই বলল, - আমি যদি কাজ করে বেতন পাবার পর দেই তাহলে কি হবে?
মিতুলের কথা শুনে লোকটি মুখ কালো করে অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়। এরপর পাশের টেবিল থেকে একটা কফির কাপ নিয়ে মুখে দেবার আগে মিতুলকে বলল, - আমার কাছে আসলে সবাই কাজের জন্য অগ্রিম টাকা দেবার জন্য সাথে করে টাকা নিয়ে আসে। তোমাকে কিভাবে বলি পরে টাকা দেবার কথা। এখানে যারা আছে সবাই অগ্রিম টাকা দিয়েছে, যে কারণে তাদের কাগজ বানাইতাছি।

অন্য যারা সেখানে উপস্থিত ছিলো, তাদের সবাই যে যার মতো করে কফি খাবার মাঝে ফ্রাইড পটেটো খায় আর লোকটির কথায় সায় দেয়। সে বললো, - আমার কাছে এখন টাকাই নেই। অনেকদিন হয় আমার কোনো কাজ নেই, টাকা যা ছিল সব খরচ হয়ে গেছে। এখন অগ্রিম টাকা দেবো কি করে?

- একদম না দিলে তো আর হবে না। কিছু তো অন্তত অগ্রিম দেওয়াই লাগবে। ঠিক আছে তুমি কালকে সকাল দশটার সময় এখানে আইসো। তখন দেখা যাইবো, তোমার জন্য আলাদা কি করা যায়। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি কাজের খবর পাই সেখানে তোমাকে লাগানোর চেষ্টা করবোনে। বলে আবার হাতের অসমাপ্ত কাজ করতে শুরু করে। যে কয়টি কাগজ ছিলো তার সামনে, সব কয়টা কেটে আঠা দিয়ে লাগিয়ে বিভিন্ন জনের হাতে সেগুলি ধরিয়ে দিয়ে বললো, - এগুলি আজকে তোমরা ফটোকপি করে নিও। কালকে সকালে আসার সময় সাথে করে নিয়ে আসতে হবে। যার যারটা তার তার কাছে থাকা ভালো। বলে সবাইকে তাদের জন্য তৈরি করা কাগজগুলো পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলে সবাই যে যার মতো কফি খেয়ে সেখান থেকে নেমে নিচে যায় এক সাথে দল বেঁধে। মিতুল তখন উপরে একা বসে থাকে। যেহেতু সে তাদের সাথে আসেনি সুতরাং তাদের সাথে না যাবার কথা ভেবে সেখানে বসে সময় কাটায়।

ওরা নিচে নেমে যাবার একটু পরেই কয়েকজন আবার পড়িমরি করে হাঁপাতে হাঁপাতে দৌড়ে এসে মিতুলের কাছে রাখা খালি চেয়ার টেনে বসে। বসেও তারা হাঁপাতে থাকে। ওদের এমন অপ্রস্তুত অবস্থায় হাঁপাতে দেখে মিতুল কোনো কিছু না বুঝে জানতে চায়, তাদের আসলে কি হয়েছে? কেনো তারা এমন করে দৌড়ে উপরে উঠে এসেছে। তখন তাদের একজন বললো, - নিচে ইমিগ্রেশন পুলিশ দাঁড়িয়েছিলো। তাদের পুলিশ অনেককে ধরে ফেলেছে। সবার মধ্য থেকে তারা দুইজন কোনো ভাবে ছুটে পালিয়ে এসেছে।

মিতুল প্রশ্ন করে, - যেই লোক এখানে আপনাদের কাগজ বানিয়েছে সে কোথায়? তাকেও ধরেছে নাকি?

- সবাইকেই ধরে নিয়ে যাচ্ছে গাড়িতে করে। পরে ঐ লোককে হয়তো ভিসা আছে এই জন্য ছেড়ে দিতে পারে কিন্তু অন্যদের কি হবে এখনো জানি না।
কথাটি শোনার পর মিতুল মনে মনে ভাবে, অন্যায় করলে অন্যায়কারীর কাজের ফল এমনই হয়। দশদিন চোরের আর একদিন সাধুর। বলে উঠে দাঁড়ায় মিতুল। দাঁড়িয়ে জানালার কাছে গিয়ে বড় গ্লাসের উপর মুখ লাগিয়ে বাইরে রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখে, ওদের দেখা যায় কিনা। কাউকে তখন সেখানে দেখতে না পেয়ে মনে মনে ভাবে, এ যাত্রা সে বেঁচে গেছে। তাই ঈশ্বরকে ধন্যবাদ।

(চলবে)

লেখক: জাপান প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

ইসলামী ব্যাংকের সাথে হাব-এর মতবিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক: ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর উদ্যোগে হ...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের প্রাণহানি 

নিজস্ব প্রতিবেদক : সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্ট...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা