পি আর প্ল্যাসিড
মিতুল জাপান এসে প্রথম দিনই এক গেস্ট হাউজে উঠে। সেখানে গিয়ে দেখে আরো বেশ কয়েকটি দেশ থেকে তার মতো রাজনৈতিক এবং সামাজিক ছাত্রনেতা এসেছে একই প্রোগ্রামে অংশ নেবার জন্য। তাদের সাথে মিতুলের পরিচয় হয়। মূল প্রোগ্রাম শুরু হবার আগে দুইদিন সময় পায় মিতুল। এর মধ্যে জাপানে সে বাংলাদেশি কারো সাথে যোগাযোগ করার কথা ভাবে। কোথায় গেলে বা কাকে বললে সে তার একই দেশের লোকজনদের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে সেটা নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করলে কেমন হয়, তা ভাবে।
জাপান আসার পরের দিন সে এনিয়ে তার হোস্টেজদের সাথে কথা বলে। কর্তৃপক্ষ মিতুলকে এ বিষয়ে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে যিনি তাকে নিপ্পরি রেল স্টেশনে রিসিভ করতে গিয়েছিলেন তাকেই অনুরোধ জানায় মিতুলের এই অনুরোধ পূরণে সহযোগিতা করার জন্য। মহিলা টোকিওতে সম্ভাব্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ফোন করে কোথায় বাংলাদেশি রয়েছে তা জানতে চাইলে দু'একজন সম্পর্কে তিনি তথ্য পেয়ে যান। এরপর তাদের সাথে যোগাযোগ করে কথা বলেন মহিলা নিজেই। ওরা এখানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছেন।
জাপানে মিতুলকে আমন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাকে সর্বপ্রকার সহযোগিতা করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকেন। একদিন বাংলাদেশিদের দাওয়াত করেন মিতুলের সাথে দেখা করানোর জন্য। মিতুলকে বিষয়টি জানালে সে খুশিতে নেচে উঠে। শুরু করে অপেক্ষা করা, কখন আসবে প্রত্যাশিত তার দেশের লোকজন। কখন সে তাদের সাথে বাংলাতে কথা বলবে এই জাপানে, ইত্যাদি।
মিতুলদের প্রোগ্রাম শেষ হবার দিন রাতে তাদের সবাইকে নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে কয়েকজন বাংলাদেশিকে আসার আমন্ত্রণ করলে সকলেই তারা আসার প্রতিশ্রুতি দেন। এর মধ্যে মিতুল সেই মহিলার সাথে কথা বলে বাংলাদেশি ছাত্রদের সাথে কথা বলার জন্য তাদের টেলিফোন নম্বর চেয়ে নেয়।
একদিন মিতুল নিজেই পথঘাট বের করে বাইরে যায় ঘুরতে। গিয়ে রাস্তার ধারে পাবলিক ফোন বুথ থেকে বাংলাদেশি ছাত্রদের ফোন করে। এ সময় জাপানে তাদের অবস্থানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয়। কথা বলে তাদের সময় করে যে কোনো একদিন সন্ধ্যার পর এসে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ করলেও তাদের যে ক'জনের সাথে সে কথা বলে সবাই তাদের অপারগতার কথা বলে ক্ষমা চায়। আবার তারা এটাও বলল যে তাদের প্রোগ্রাম শেষ হলে একদিন তাদের ক্যাম্পাসে গিয়ে ঘুরে আসতে। কিন্তু মিতুল টোকিও শহরের কোনো কিছুই চিনে বলে তাদের কাছে যাবার কথা দেয়নি।
এদিকে কর্তৃপক্ষ মিতুলের ইচ্ছে পূরণ করতে ছাত্রদের সাথে এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের এক কর্মকর্তার সাথে এর মধ্যে কথা বলেন। কথা বলে শেষ দিনের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান। ভিতরে ভিতরে মিতুলকে বিষয়টি অবাক করতেই তাকে আর জানানো হয় না। প্রথম দিন এয়ারপোর্ট থেকে এক সাথে আসা সেই রিকাও একদিন তার অনুষ্ঠানস্থলে এসে হাজির হয়। নিয়ম অনুযায়ী রিকা সেদিন নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে মিতুলের সাথে একদিনের সেমিনারে অংশ নেয়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রিকা থাকে মিতুলের সাথে। সেমিনারের যে কর্মসূচি ছিলাে সেটার ফাঁকে ফাঁকে চা পানের যে সময় ছিলো সেই সময় মিতুলের সাথে রিকা তার নানা বিষয় নিয়ে কথা বলে। এমনকি তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি সে বিষয়েও আলাপ হয় তাদের মাঝে।
মিতুল রিকাকে একদিনের সম্পর্কে তার কাছে আবদার করে বলে, জাপানে এসেছে যেহেতু তাই সে তার স্বপ্নের শহর হিরোশিমাতে যেতে চায়। তার খুব ইচ্ছে হিরোশিমা দেখে যাবার। মিতুল জানায় সে তার স্কুল জীবনে পাঠ্য বইতে এই হিরোশিমা সম্পর্কে পড়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে আমেরিকার বিমান বাহিনী অনেক দূরের পথ উড়ে এসে এই হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর প্রথম পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করেছিলো সে কথা মিতুল জানে। বোমায় প্রায় পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, সেই বিষয়টি তার মাথায় এখনো আছে। কিন্তু সে জানে না এই টোকিও থেকে যে হিরোশিমা কতদূরের পথ। তাই রিকাকে বলার পর প্রথম সে মুখ মলিন করে ফেলে। কিছু সময় চুপ করে থাকার পর মিতুলকে খুশি করার জন্য বলল,- তুমি যে হিরোশিমা যেতে চাইছো, এটা কিন্তু টোকিও থেকে অনেক দূরের পথ। তা ছাড়া টোকিও থেকে হিরোশিমা পর্যন্ত আসা যাওয়ায় সময় অনেক লাগবে। খরচও কিন্তু কম নয়।
মিতুল রিকার এমন কথার পর দূরত্ব বা খরচ কোনোটার বিষয়ই না ভেবে বলল,- ঠিক আছে, তোমার সমস্যা হলে তুমি শুধু আমাকে কিভাবে যেতে হবে তা বিস্তারিত বলে দিও। আমি একাই যেতে চাই। তবুও আমি এই হিরোশিমা দেখে যেতে চাই। কারণ তুমি জানো না, আমার কাছে জাপান মানে হিরোশিমা। আর এই হিরোশিমা শহর যদি এবার দেখে না যাই তাহলে আমার জাপান আসাই হয়ে যাবে অর্থহীন।
বলার পর রিকা তাকে বলল,- ঠিক আছে, তোমার প্রোগ্রাম আগে শেষ হোক এরপর যে কয়দিন তুমি জাপানে বেড়াতে চাও সে কয়দিন আমার এখানেই থাকতে পারবে। আমি তোমাকে জাপানের যেখানে যেখানে যেতে চাও, ঘুরিয়ে দেখাবো।
রিকা কর্তৃপক্ষের সাথে মিতুলের পক্ষে তাকে নিয়ে তার তত্ত্বাবধানে রেখে ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য এমনভাবে দাবি খাটিয়ে কথা বলে যেন জাপানে সে একমাত্র মিতুলের অভিভাবক। প্রথম দিন এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে প্রথম তার পাশে বসে কথা বলতে বলতে ট্রেনে চড়ে নিপ্পরি রেল স্টেশন পর্যন্ত আসায় অনেকটা দু'জন দু'জনের ভিতরের আবেদন বুঝতে পারে। দু'জনই দু'জনকে মনে মনে আপন করে কোনো সম্পর্কে আবদ্ধ করার কথা ভাবে। কিন্তু কেউ কাউকে তখন পর্যন্ত বিষয়টি প্রকাশ করতে পারেনি।
রিকা মনে করে এখন পর্যন্ত মিতুল যেহেতু তার হোস্টেজদের অধীনে রয়েছে সুতরাং কোনো কিছুই জোর দিয়ে বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়, বলাটা আবার উচিতও নয়। তাই নির্ধারিত প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেলে সে জানে, আগত অতিথিদের কারো দায়িত্বই এখানে কেউ যে নিবে না। তাই প্রোগ্রাম শেষ হয়ে গেলে মিতুলকে তার তত্ত্বাবধানে রাখার কথা ভাবে। এর মধ্যে সে বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক কিছুই খোঁজ-খবর নেবার চেষ্টা করছে।
একদিন এক বাংলাদেশি মিতুলের কথা শুনে দেখা করতে আসে তার গেস্ট হাউজে। লোকটি এখানে বেশ কয়েক বছর ধরে বসবাস করছে। তার ভিসা নেই। কাজ করে একটি ফ্যাক্টরিতে। অথচ চলাফেরায় তার এমন ভাব যেন সে এখানে বিশাল কিছু। এ কারণে তার ভিসা না থাকার বিষয়টি কেউই বুঝতে পারে না। কয়েক বছর জাপানে বসবাস করার ফলে এবং জাপানিদের সাথে নিয়মিত কথা বলায় সে বেশ ভালো ভাষাও রপ্ত করতে পারে। ফ্যাক্টরিতে সাধারণ শ্রমিকের কাজ করলেও চলাচল করে স্বাধীন কোনো ব্যবসায়ীর মতো। লোকটি মিতুলের সাথে দেখা করতে এসেও সে নিজের পরিচয় দেয় এখানে সে ব্যবসায়ী হিসেবে ব্যবসা ভিসায় আছে, ভালো ব্যবসা করছে।
মিতুলের সাথে দেখা করতে এসে সে তাকে পরামর্শ দেয় দেশে আর ফিরে না যাবার জন্য। সম্ভব হলে জাপানে থেকে যেতে বলে। এমন পরামর্শ শুনে মিতুল বিস্তারিত সব জানতে চায় লোকটির কাছে। লোকটি মিতুলকে থেকে গেলে কি করতে হবে এবং এখানে কাজ করলে প্রতিমাসে কতা টাকা রোজগার করতে পারবে, কত বছর থাকার পর টাকা জমিয়ে দেশে গিয়ে সেই টাকায় কি করতে পারবে আরো নানা বিষয় আলোচনা করে বলে, যেদিন তার অনুষ্ঠান এখানে শেষ হবে সেদিন যেন তার সব লাগেজ ফেলে রেখেই তার কাছে চলে যায়। তা না হলে তাকে রাস্তাঘাটে পুলিশ ধরে দেশে ফেরৎ পাঠিয়েও দিতে পারে। কারণ সে তাদের না জানিয়ে কোথাও গেলে হারিয়ে গেছে বলে এখানকার পুলিশ বা কর্তৃপক্ষে নোটিশ করা হবে। তাই পুলিশ তাকে খুঁজে বের করে ফেলবে।
লোকটির কথা শুনে মিতুল একবার মনে করে, জাপানে সে থেকেই যাবে। আবার ভাবে যে না, সে পালিয়ে গিয়ে দেশের যে বদনাম হবে সেই কাজটি সে কোনোভাবে করতে রাজি হবে না।
এদিকে মিতুলের প্রোগ্রাম শেষ হবার দিন যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই সে জাপানে অন্য বাঙালিদের সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা শুরু করে। যারাই এখানে বৈধভাবে থেকে পড়াশোনা করছেন বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছে, তাদের কেউই মিতুলকে পালিয়ে গিয়ে অবৈধভাবে থেকে কাজ করার পক্ষে তাকে মত দেয় না। বিভিন্ন জনের নানা কথা শুনে একসময় সে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে শুরু করে। এরপর নিজের মনের সাথে যুদ্ধ করতে শুরু করে মিতুল, জাপানে সে থেকে যাবে কিনা। দিনের শেষে রাতে বিছানায় ঘুমাতে গিয়ে যখন দেশের সার্বিক অবস্থা এবং ফিরে গেলে দেশে গিয়ে কি করবে সে, কতোটাই লাভবান হবে দেশে ফিরে গিয়ে পড়াশুনা করে, এসব নিয়ে একা গভীরভাবে ভাবতে থাকে।
একদিন পুরো বেলা নিজে নিজে এনিয়ে অনেক ভাবে। ভাবনা শেষে সিদ্ধান্ত নেয়, সেই লোকের কথা রাখবে সে। এখান থেকে পালিয়ে গিয়ে থেকে যাবে জাপান। জাপানে সে যদি চাকরি করে তাহলে প্রতিমাসে হিসেব করে দেখে এক থেকে দেড় লাখ টাকা দেশে আত্মীয়-পরিজনের কাছে পাঠাতে পারবে যা দেশে কোনো সরকারি চাকরি করলে বা ব্যবসা করলে এখনই তার পক্ষে সৎভাবে উপার্জন করা সম্ভব না। দেশে চাকরির পাশাপাশি যদি কোনোভাবে ঘুষ নেবার সুযোগ পায় তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। তা ছাড়া দেশে যেহেতু সে ক্ষমতাশীন দলের সমর্থক একারণে হয়তো মাঝে মধ্যে দেনদরবার করে কিংবা মিডিয়া ম্যান হিসেবে কাজ করে কিছু টাকা রোজগার করতেও পারে। তাতে অবশ্য তেমন কোনো নিশ্চয়তা নেই। তা ছাড়া দেশে রাজনীতির যে পরিস্হিতি বা অবস্থা এতে জীবনেরই কোনো ভরসা বা নিশ্চয়তা নেই। এসব কথা ভেবে জাপানে শেষ পর্যন্ত থেকে যাবার ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেয়।
আস্তে ধীরে মিতুল গোপনে সেই লোক যিনি তাকে পালিয়ে গিয়ে জাপানে থেকে যাবার পরামর্শ দিয়েছেন তার সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করে। বিপরীতে রিকা কিংবা অন্যদের সাথে যোগাযোগ দেয় বন্ধ করে।
অনুষ্ঠানের শেষ দিন নির্ধারিত সময় উপস্থিত বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ছাত্রদের উদ্দেশে বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেদিন টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের এক অফিসার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত সবাই এসে উপস্থিত হন। কর্তৃপক্ষ অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। সংশ্লিষ্ট অন্য যারা সেখানে ছিলেন তারা আগত অতিথিদের অনুষ্ঠান স্থলে নিয়ে গিয়ে সম্মানের সাথে বসানোর ব্যবস্থা করেন।
এতে অন্য কোনো দেশের কারো বেলায় এতটা করা হয়নি, যতটা মিতুলের জন্য করা হয়েছে। অন্য দেশের পার্টিসিপেন্ট কেউ জাপান আসার পর মিতুলের মতো তাদের নিজের দেশের কোনো লোকদের খোঁজ করে দেখা করার ইচ্ছেও করেনি।
অনুষ্ঠানে জাপানের বেশ ক'জন ভিআইপি অতিথিও এসে উপস্থিত হয়েছেন। সবার সাথে দূতাবাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিচয় করিয়ে দিয়ে মিতুলের খোঁজ করতে শুরু করেন কর্তৃপক্ষ। তখন মিতুলের আর কোনো খোঁজ পাচ্ছিল না কর্তৃপক্ষ।
একসময় কর্তৃপক্ষ মিতুলকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। মিতুল সেখানে নেই, নেই, নেই-ই। কোথাও আর তার খোঁজ মিলছিলো না। থাকার ঘরে তার লাগেজপত্র সব কিছু ঠিকঠাক রয়েছে অথচ আশ্চর্য বিষয় যে, মিতুল নেই। কর্তৃপক্ষ তার যেখানে যেখানে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে সবখানে যোগাযোগ করেন। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল হয়। মিতুল সম্ভাব্য কোথাও যায়নি। বাধ্য হয়ে অনুষ্ঠান শুরুর আগে স্থানীয় পুলিশ স্টেশনে সংবাদ দিয়ে সেদিনের মতো অনুষ্ঠান তারা শুরু করে দেন। কেবলমাত্র মিতুলের এমন আশ্চার্যজনকভাবে অনুপস্থিত থাকার কারণে নির্ধারিত সময়ের থেকেও আধাঘণ্টা পর অনুষ্ঠান শুরু করা হয় যা জাপানের মাটিতে ব্যতিক্রম ঘটনা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ থেকে আগত তাদের পার্টিসিপেন্ট মিতুলের মিসিং হবার সংবাদ ঘোষণা করা হয়। এজন্য অনুষ্ঠান দেরি করে শুরু করার কারণ ব্যাখ্যা করতে সবার কাছে কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চায়। এ সময় সেখানে উপস্থিত বাংলাদেশি সকলেই মিতুলের এই চালাকি বুঝতে পারে। মিতুল যে আসলে কর্তৃপক্ষের চোখকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে সেটা বুঝতে কারো আর বাকি রইলো না। নিজেদের মধ্যে তখন তারা আলোচনা করে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে চেপে গেলেও তারা সকলেই উল্টো ক্ষমা চেয়ে সেদিন অনুষ্ঠান শেষে বিদায় নেন।
(চলবে)
লেখক: জাপান প্রবাসী সাংবাদিক, লেখক।