শিল্প ও সাহিত্য
ডয়চে ভেলে ব্লগ

সফলভাবে ‘জিরো’ ভূমিকায় বুদ্ধিজীবীরা

সান নিউজ ডেস্ক: হাত ধুয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেন তিনি৷ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন৷ পেশা ইট-বালুর ছোট্ট ব্যবসা৷ ভদ্রলোকের নাম মো. শহীদ৷

ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে বুড়িগঙ্গা গণপাঠাগার নামে যে বেসরকারি লাইব্রেরি রয়েছে, সেটার সাধারণ সম্পাদক৷ তার সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে৷

গত পাঁচ বছরে এই মো. শহীদ আমার মনের উঠানে বারবার পায়চারি করেছেন৷ আজ সুযোগ হলো তাকে নিয়ে কিছু লেখার৷ কামরাঙ্গীরচরে কেন পাঠাগার প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন পড়ল, সে প্রশ্নের জবাব তিনি দিলেন৷ যত দূর মনে পড়ে, তিনি বলেছিলেন, চরে লোকসংখ্যা বাড়ছে৷ নানান জায়গার ছেলে ছোকড়ারা এসে ভিড় জমাচ্ছে৷ এরা যাতে বিগড়ে না যায়, লেখাপড়ার পরিবেশের মধ্যে থাকে সে জন্যই গণপাঠাগার প্রতিষ্ঠা৷

কাগজ-কলমে সেখানে বইয়ের সংখ্যা ১৪শ, কিন্তু শেলফে সাজানো আছে বড় জোর সাত শ৷ বাকি বই কোথায়? জানা গেল, নির্দিষ্ট গ্রন্থাগারিক না থাকায় স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের কেউ কেউ এসে বই নিয়ে চম্পট দেয়৷ আর ফেরত দেয় না৷

‘‘আপনারা কিছু বলেন না? শহীদের জবাব, ‘আমরা কোনো শিক্ষার্থীর ওপর চাপ দিতে চাই না৷ আমরা বিশ্বাস করি, যারা বই নিয়ে আর ফেরত দিচ্ছে না, তারা একদিন ঠিকই ফেরত দেবে৷ বই পড়ার অভ্যাস তৈরি হওয়ার পর তাদের মধ্যেই এক ধরনের বোধ তৈরি হবে যে বই নিয়ে ফেরত না দেওয়া অন্যায়৷ এরপর থেকে তারা ঠিকই বই ফেরত দেবে৷’’

প্রাতিষ্ঠানিক সনদহীন একজন শ্রমজীবী মানুষের মুখে গভীর দর্শনের এ কথা শুনে নিজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া হয়েছিল৷ ঢাকার গণপাঠাগার নিয়ে গবেষণার কাজ করতে গিয়ে কত জ্ঞানী গুণি মানুষের সঙ্গেই তো আলাপ হলো৷

কিন্তু কারও মুখে এমন কথা শুনিনি৷ মনে পড়ে গেল, ইতালীয় চিন্তাবিদ আন্তনিও গ্রামসির কথা, যিনি বলেছেন, প্রতিটি মানুষই বুদ্ধিজীবী৷ প্রতিটি মানুষই তাদের পেশাগত কাজকর্মের বাইরে কোনো না কোনো বুদ্ধিগত কাজে লিপ্ত৷ প্রতিটি মানুষেরই রয়েছে একটি বিশ্ববোধ ও দর্শন৷ গ্রামসি বলতে চেয়েছেন, কোনো একটা জনগোষ্ঠীর ভেতরকার মানুষ, যিনি তার সমাজের স্বার্থের কথা ভাবেন এবং কাজে যুক্ত থাকেন, তিনিই বুদ্ধিজীবী৷ সেই হিসেবে কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা মো. শহীদকে কি বুদ্ধিজীবী বলা যায়? বিচার আপনারাই করুন৷

বুদ্ধির চর্চা করে নিষিদ্ধ হয়েছেন যারা

সক্রেটিস

পশ্চিমা দর্শনের উদ্ভাবক হিসাবে পরিচিত গ্রিক চিন্তাবিদ সক্রেটিসকে রাষ্ট্রধর্মের বিরোধিতা করা, তরুণদের ভুল পথে চালিত করা ও নকল ঈশ্বরের উপাসনা করার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড শুনিয়েছিল চতুর্থ শতাব্দীর এথেন্স সরকার। বিচার চলাকালীন নিজের মতের পক্ষে নানা যুক্তি তুলে ধরলে শেষ পর্যন্ত আইনি ব্যবস্থার পক্ষে থাকা সক্রেটিস রায় মেনে নিয়ে বিষপান করেন।

আমাদের সমাজে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা বহু পুরোনো৷ তবে গত এক দশকে এ আলোচনা নানা মহলে ব্যাপৃত৷ এখন বরং বুদ্ধিজীবী শব্দটা উচ্চারণ করলেই অনেকেরই নেতিবাচক, অস্বস্তিকর কিছু একটা মনে হয়৷ সমাজে বুদ্ধিজীবীদের নানা কারণে বিতর্কিত হয়ে পড়া এবং দুর্বল ভূমিকা রাখাই এমন মনে হওয়ার কারণ হয়তো৷

অতি সম্প্রতি সাংবাদিক, লেখক মাহবুব মোর্শেদ ‘বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে’ কথার ইমপ্যাক্ট ও কাজের ধরন বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে ৬১জন বুদ্ধিজীবীকে খুঁজে পেয়েছেন এবং এদের নাম তিনি ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন৷ মাহবুব গবেষণা করে উপসংহারে এসে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বুদ্ধিজীবী কমে আসছে৷ এ বিষয়ে ড. সলিমুল্লাহ খানের একটি বক্তব্য উল্লেখ করার মতো৷ বিভিন্ন টকশোতে হামেশা তিনি শিক্ষকদের ভূমিকা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে কথা বলেন৷

আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিদেশে বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি নিয়ে আসেন, তাদের সেই পিএইচডি থিসিস পেপার বাংলায় প্রকাশ করেন না কেন, সেই প্রশ্ন তিনি তুলেছেন৷ খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন৷ তবে, ড. সলিমুল্লাহ খান যতই বলুন না কেন, বেশির ভাগ ডক্টরেটধারী শিক্ষক সে পথে হাঁটবেন না, এটা বলা যায়৷ কারণ এতে থলের বিড়াল বেরিয়ে পড়বে৷

যাই হোক, মাহবুব মোর্শেদের এই তালিকা নিয়ে আমার মত-দ্বিমত, বক্তব্য নেই৷ এমন তালিকা করার নিশ্চয় গুরুত্ব আছে৷ ধরে নেওয়া যাক তারা সবাই ‘জনতার বুদ্ধিজীবী’৷ এই অবসরে আমি বরং সমাজে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা, পেশাজীবীতা ও শ্রমজীবীতার সঙ্গে বুদ্ধিজীবীতার সম্পর্ক নিয়ে কিছু আলোচনা করতে আগ্রহী৷ বাংলা সাহিত্যের যশস্বী লেখক আহমদ ছফা ১৯৭২ সালে বলেছিলেন, ‘‘একাত্তরে বুদ্ধিজীবীরা যা বলেছিলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না৷ আর এখন যা বলেন, তা শুনলে বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দাঁড়াতে পারবে না৷’’ (বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের পর থেকেই বুদ্ধিজীবীদের কথা তেমন আমলে নেওয়া হয়নি, এটাও সত্য)৷

মার্কসবাদী রুশ বিপ্লবী নেতা ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন রুশ সাহিত্যিক ম্যাক্সিম গোর্কিকে লেখা চিঠিতে বুর্জোয়া শ্রেণির বুদ্ধিজীবীদের তুলনা করেছিলেন ‘বিষ্ঠা’র সঙ্গে৷ বলেছিলেন, এরা পুঁজির পা চাটা, এরা জাতির মগজ নয়, জাতির বিষ্ঠা৷ কম্বোডিয়ার খেমাররুজ নেতা পলপট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, লেখক-বুদ্ধিজীবীদের শহর থেকে তাড়িয়ে গ্রামে কৃষি খামারে কাজ করতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন৷

কিছু বিশেষ শ্রেণির বুদ্ধিজীবীর ওপর শাসকেরা কেন এত ক্ষুব্ধ হন, সেটার নিশ্চয় বড় কারণ রয়েছে৷ তবে কি বুদ্ধিজীবীদের কার্যকলাপ-ভূমিকা নিয়ে সমাজ কখনো কখনো বীতশ্রদ্ধ হয়ে ওঠে? আবার কেবল আদর্শের বিভেদের কারণে বুদ্ধিজীবীরা বিভিন্ন সময়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছেন কারা-প্রকোষ্ঠে৷ ইতিহাস তাই বলে৷

আলোচনা করা দরকার সমাজে বুদ্ধিজীবীদের কাজটা কি? বুদ্ধিজীবীদের কাজ হলো, সমাজের ওপর চেপে বসা জগদ্দল পাথর উপড়ে দেওয়া৷ আরও সহজ করে বললে সমাজের ক্ষত নিরাময় করা, বলে গেছেন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত মার্কিন তাত্ত্বিক এডওয়ার্ড সাঈদ৷ কারণ সমাজের ক্ষত নাগরিকের স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত করে, চিন্তার সামর্থ্যকে সীমিত করে৷ তাঁর এ কথার মধ্যে রয়েছে সমাজের কল্যাণের মহৎ উদ্দেশ্য৷

বিজ্ঞানী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৗশলী, কবি, লেখক, সাংবাদিক-সব পেশাজীবীর মধ্যেই বুদ্ধিজীবী আছে, অর্থাৎ থাকতে পারে৷ কেউ বুদ্ধিজীবী হয়ে জন্মায় না৷ তাঁকে বুদ্ধিজীবী হয়ে উঠতে হয় এবং নিজেকেই শেষ পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখতে হয়৷ সব অধ্যাপক বুদ্ধিজীবী নন, গুটিকয়েকই বুদ্ধিজীবী, যাদের চিন্তার ক্ষমতা আছে, যারা নতুন জ্ঞান উৎপাদন করতে পারেন৷ একজন আমলাও বুদ্ধিজীবী হতে পারেন, যদি তিনি চর্চা করেন৷

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের বড় অংশই ছিলেন পেশাজীবী৷ একজন শ্রমজীবী মানুষও বুদ্ধিজীবী হতে পারেন৷ এই লাইনটা যখন লিখলাম তখন কয়েকটা মুখ আমার মনের আয়নায় ভেসে উঠল৷

ঝিনাইদহের জহির রায়হান, নিতান্তই একজন ছা-পোষা মানুষ৷ এই মানুষটিই এলাকায় ৫০টির মতো পাখির বাসা বানিয়ে গাছে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছেন, যাতে পাখিরা এসে বসতে পারে, ডিম পাড়তে পারে, বংশবৃদ্ধি করতে পারে৷ জহির রায়হান এই কাজটা না করলে নিশ্চয় সমাজচ্যুত হতেন না, আবার কারও কাছে বকাও খেতেন না৷ কিন্তু তিনি চিন্তা করেছেন এবং এর বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন৷ উপকৃত হয়েছে পাখি-সমাজ৷ এখানে একই সঙ্গে তিনি ইন্টেলেকচুয়াল এবং অ্যাকটিভিস্ট৷ আবার ধরুন টাঙ্গাইলের আকবর আলী৷

সারা দিন ছাত্র পড়িয়ে সন্ধ্যায় সাইকেল চালিয়ে যান তাঁতপ্রধান গ্রামের বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্রে৷ তাঁত শ্রমিকদের অ আ ক খ শেখান৷ নিজের টাকায় চক-স্লেট কিনে দেন৷ এতে শ্রমিকেরা পায় ভাষা৷ জহিরের মতো আকবরও তাঁর চিন্তার বাস্তবায়ন ঘটিয়েছেন৷ (দুজনকে নিয়েই জাতীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়েছে৷)

আন্তোনিও গ্রামসি ও এডওয়ার্ড সাঈদের সংজ্ঞার যদি একটা মিশ্র রূপ দাঁড় করাই, তবে গ্রামের এই দুই শ্রমজীবী মানুষ কি বুদ্ধিজীবী নয়? লেনিন ওয়ার্কিং ক্লাস বুদ্ধিজীবীর কথা বলেছেন, যারা বুর্জোয়া শ্রেণিকে উৎখাত করতে সক্ষম, সে কথা এখানে নাইবা আনলাম৷ বুদ্ধিজীবীর চিন্তা যদি সমাজের কাজে না লাগে তবে সে চিন্তা অর্থহীন৷ অর্থাৎ চিন্তার প্রায়োগিক দিকটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷

এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থা এক ভয়াবহ চিন্তার সংকটের মধ্যে রয়েছে৷ সামগ্রিক আলোচনা প্রায় অনুপস্থিত৷ শাসনের বেড়ি পরে, অথবা নিজেরা শাসিত হচ্ছে ভেবে তৃপ্তি (?) বোধ করছে গণমাধ্যম৷ জীর্ণ জাতির বুকে আশা জাগানো, কিংবা মৌন মলিন মুখে ভাষা তুলে দেওয়া- প্রায় কোনো ভূমিকাই নেই৷ লেখক-বুদ্ধিজীবীরা সবাই যার যার সেফ জোনে বসবাস করছেন৷

অনেকেই আছেন ক্ষমতার বলয়ের আশপাশে৷ কে কত কাছে থাকতে পারেন, সে প্রতিযোগিতাও ঢের হচ্ছে৷ অনেকেই সরাসরি রাজনীতি, এর শাখা-প্রশাখা-উপশাখার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ছেন৷ কোনো উচ্চবাচ্য নেই৷ মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আদর্শ সমাজে সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় এখন বেশির ভাগের রয়েছে সাফল্যজনকভাবে জিরো ভূমিকা৷

কিছু শব্দ যেমন ‘দলকানা বুদ্ধিজীবী, দলীয় বুদ্ধিজীবী, বুদ্ধি ব্যবসায়ী, ডিকশনারিতে যুক্ত হয়েছে তাদের কারণেই৷ প্রকৃত বুদ্ধিজীবী কখনো নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকেন না, তিনি ব্যস্ত থাকেন সমাজকে নিয়ে৷ সমাজতন্ত্রী জঁ পল সার্ত্রের ভাষায়, বুদ্ধিজীবী ডান বা বামপন্থী নন, তিনি ন্যায়পন্থী৷

এত কিছুর পরও সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মতো কিছু আলো এখনো মিটমিট করে জ্বলছে৷ এই আলোয় বিপুলসংখ্যক মানুষ আলোকিত হচ্ছে না সত্য৷ তবু সামান্য আলোটুকু এখনো আশাবাদী হওয়ার মতো৷

সান নিউজ/এমএম

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

সবজির বাজারে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে কমেছে পেঁয়াজ, সবজি...

নলছিটিতে ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: ঝালকাঠির নলছিটিতে শুরু হয়েছে ভূট্টো স্মৃত...

স্বামীকে মৃত দেখিয়ে মামলা, নারী আটক

জেলা প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় জীবিত স্বামীকে বৈষম্যবিরোধ...

বড় দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন পূজা 

বিনোদন ডেস্ক: ঢাকাই চিত্রনায়িকা ও মডেল পূজা চেরি ডজনখানেক ছব...

বৈষম‌বিরোধী আন্দোলনে বেঁচে ফেরার আশা করেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন আন্দোল&zwnj...

সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছ...

ফের বাড়ল সোনার দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক : দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা...

ফের হারলো সাকিবের দল

স্পোর্টস ডেস্ক : আবুধাবির টি-টেন টুর্নামেন্টে ফের হারের মুখ...

নোয়াখালীতে দুই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে পৃথক স্থান থেকে দুই গৃহবধূর...

ঢাকাবাসীকে নিরাপদ রাখতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক : ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা