আতাহার খান
জলে ভাসমান শাপলার পাতার ওপর এক মুঠো রোদ
নেমে এসে শুরু করে নিখুঁত ধ্রুপদী নাচ,
নিমিষে ছড়িয়ে পড়ে তার তাল-লয়,
ধ্যানমুগ্ধ মূর্চ্ছনায় জেগে ওঠে পানির স্বভাব,
তারপর চলে অবিরাম মাছেদের
বিমূর্ত ভাষায় ভাব-বিনিময়,
আর এই সব দেখে বাতাসেরা হেসে খুন!
দূরে, জলাশয় পার হয়ে ঝিল পাড়ে
তখন ঝিমোয়
হাঁটু মুড়ে সবুজ পাতায় ঢাকা শত শত গাছ।
চারদিকে্ নৈঃশব্দ্যের সোনালি জ্যোৎস্না ঢেলে
সন্ধ্যে নেমে্ আসে, তারপর
নিমিষে রোদকে পাজাকোলে তুলে নিয়ে আড়ালে লুকোয়।
সেই থেকে আর কোথাও দিনের দেখা নাই।
শুধু রাত ধীরে ধীরে ঘন হয়,
সময় গড়ায়, অবশেষ কেন জানি
অসহায় বেদনা নিয়ে সে ঢলে পড়ে সময়ের বুকে!
দ্বিতীয় প্রহর শেষে
থেকে থেকে শুনি সে কী চীৎকার,
দেখি, তার দু উরুর
জোড়স্থল থেকে বেরিয়ে আসছে ধীরে ধীরে এক উজ্জ্বল সকাল!
সান নিউজ/এসএম