সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মাহেন্দ্রকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০১তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগের কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর চত্বরে শুরু হলো তিনদিনব্যাপি পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক উৎসব।
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বিভিন্ন বই এবং বঙ্গবন্ধুর রচিত বই প্রদর্শনীর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থগারের সাংস্কৃতিক দলের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় গ্রণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এই পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করেছে। আয়োজনে সহযোগিতা করছে- ঢাকার বিভিন্ন অঞ্চলের বেসরকারি গ্রন্থাগারসমুহ।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে আগত দর্শনার্থী ও অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে ১০১টা রঙিন বেলুন উড়িয়ে এই বই প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭১’র টেলিভিশনের প্রধান সম্পাদক মোজাম্মেল বাবু ও গ্রণগ্রন্থাগারের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক।
উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতার পরেই পুস্তক প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মঞ্চে শুরু হয় উদ্বোধনী আলোচনা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
আলোচনায় জিয়াউর রহমানকে বঙ্গবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পকারী হিসেবে উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সামরিকজান্তা জিয়ার মার্শাল ল চলার সময় বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা যেত না, তার ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতে দেয়া হতো না! উল্টো- আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল-বদরদের রাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা করেছে। ইতিহাস বিকৃত করেছে। অথচ, এই বঙ্গবন্ধু ও তার ৭ মার্চের ভাষণের কারণে পুরো জাতি একত্রিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছে এবং ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণার পরে নয়মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছে।
এর আগে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে শুরু হয় আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণের লেখা ‘স্বাধীনতা, এই শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো’ কবিতাটি আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী রূপা চক্রবর্তী।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অংশ নেয়- সীমান্ত গ্রন্থগার, শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার, দনিয়া কত্থক থিয়েটার ও মন্দিরা সাংস্কৃতিক পাঠশালা।
সান নিউজ/এইচএস/আরআই