সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধুর হাতে প্রতিষ্ঠিত দেশীয় সংস্কৃতি চর্চা ও বিকাশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা একাডেমির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি)।
এ উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটি ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি দুইদিনব্যাপি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। পাশাপাশি একাডেমির সকল বিভাগ ও শাখার কার্যক্রম নিয়ে থাকছে সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনী। যা চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
দেশের সংস্কৃতিচর্চার জাতীয় ও সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। আবহমান গ্রাম-বাংলার সংস্কৃতির গৌরবময় বিকাশকে অব্যাহত রাখতে ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় শিল্পকলা একাডেমির পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে আয়োজনের কার্যক্রম। এরপর একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা ভবনের ২ ও ৩ নম্বর গ্যালারিতে বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে একাডেমির সকল বিভাগ ও শাখার কার্যক্রমের সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব বদরুল আরেফীন। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখবেন একাডেমির সচিব মো. নওসাদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সংবাদমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ।
শিল্প সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে গুণী ও প্রতিভাবন শিল্পীদের সহায়তা ও স্বীকৃতি প্রদান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাকে অনুদান প্রদান, অতীত ঐতিহ্য ও সমকালীন সংস্কৃতি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা এবং সঙ্গীত, নাট্য ও চারুকলা বিষয়ে আন্তর্জাতিক উৎসবাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে। এখানে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে উৎসব, সম্মেলন, সেমিনার, নাট্যানুষ্ঠান ও কর্মশালা আয়োজন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চিত্রকলা প্রদর্শনী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন ও পুরস্কার প্রদান, বিদেশে সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের শিল্প ও সাংস্কৃতিক দল প্রেরণ এবং বিদেশী সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি দলকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো, দেশের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুরস্কৃত করা এবং শিল্প ও সংস্কৃতিবিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ের ওপর গ্রন্থ, সাময়িকী ও স্মরণিকা প্রকাশ ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে।
একাডেমির বিশাল চত্বরে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক জাতীয় নাট্যশালা, জাতীয় চিত্রশালা, সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি ভবন এবং প্রশিক্ষণ ভবন। এখানকার মঞ্চে নিয়মিত নাট্যপ্রদর্শন, গ্যালারীতে চিত্রকর্ম প্রদর্শনসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের লালন ও বিকাশে এই একাডেমি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
সান নিউজ/এইচএস/আরআই