সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: করোনাকালে ছুটির দিনে নাটক মঞ্চায়নের অংশ হিসেবে শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হলো শৌখিন থিয়েটারের নাটক 'ধুম্রজ্বালা'।
শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। এটি ছিল দলটির চতুর্থ প্রযোজনার তৃতীয় মঞ্চায়ন। অপূর্ব কুমার কুণ্ডু রচিত এই নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন হামিদুর রহমান পাপ্পু।
বাবা-মার অতি আদরে সন্তান যে বাঁদরের রূপ নেয় এবং ধীরে ধীরে মূল্যবোধের অবক্ষয় হয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ে সেটাই হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা ও নাচে-গানে নাটকটিতে তুলে ধরা হয়েছে।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যায়- উচ্চমাত্রার মিউজিকের গানের সঙ্গে চলছে উঠতি মডেল কাম নায়িকা সিল্কি জোয়ার্দারের নাচের শ্যুটিং। এরই মাঝে বড়লোক ব্যবসায়ী বাবার একমাত্র ছেলে রোশন রাব্বানী এসে হাজির হয় লোকেশনে। বিয়ের জন্য সিল্কিকে সে নানা ধরণের অনুরোধ করে। রোশন সিল্কির সাথে কথা বলতে চায়, কিন্তু রোশনকে সে গুরুত্ব দেয় না। রোশন যদি তার বাবার স্থাবর-অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির মালিকানা সিল্কির নামে করে দিতে পারে তবে সে তাকে বিয়ে করবে রোশনকে এমন শর্তও জুড়ে দেয় সিল্কি।
এর আগে তিন বার সুযোগ পেয়েও রোশন শর্ত পূরণ করতে পারেনি বলে বিয়ে হয়নি। সিল্কির পক্ষ থেকে বিয়ের সম্ভাব্য তারিখ পেয়ে বিয়ে করতে মরিয়া শিল্পপতির একমাত্র পুত্র রোশন রাব্বানী। কিন্তু এতে বাধ সাধে রোশনের বাবা হায়দার আকবর আর মা ফিরোজা সারা। রোশন রাব্বানী তখন দ্বারস্থ হয় শিল্পপতি বাবার পি.এস. সুমনা হক, পারিবারিক ডাক্তার ও তার মায়ের বন্ধু ডা. সুলতানা এবং অ্যাডভোকেট টি. আর. মোকসেদের কাছে। হুমকি এবং প্রলোভনে রাজী হয়ে তারা হায়দার আকবর সাহেবের উপর চাপ তৈরি করে। শেষ পর্যন্ত দলিলে সই করার মধ্য দিয়ে মীমাংসা হয়। তবে পুত্র রোশন রাব্বানীকে সব দান করে স্বামী-স্ত্রী দুজনে চলে যায় গ্রামের বাড়ীতে। এদিকে রোশনের সকল সম্পত্তি নিয়ে সিল্কি রোশনকে প্রত্যাখ্যান করে। সবকিছু হারিয়ে এবং নিজের কর্মফলে রোশন ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। অবশেষে সে গ্রামে ফিরে যায় বাবা-মা'র কাছে। নিজের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চায়।
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- জাবেদ হামিদ, প্রিয়াংকা, নাইম, আবদুল্লাহ আল নোমান, সাকিব, ফারহানা হামিদ, আজমিরা, ইউসা, আবিদা সুলতানা, জুয়েল, সানোয়ার, শাওন সুমন, মো. তারেক হামিদুর রহমান পাপ্পু প্রমুখ।
সান নিউজ/এসএস