সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক: মানুষের পাঠাভ্যাস বৃদ্ধি, মননশীল সমাজ গঠন ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণগ্রন্থাগারের ভূমিকা দৃঢ় করার লক্ষ্যে পালিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস।
গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের আয়োজনে শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সারাদেশে একযোগে শুরু হবে গ্রন্থাগার দিবস পালনের এই আয়োজন। এরমধ্যে রাজধানীর কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী আয়োজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। আরও থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গ্রন্থাগার অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞান ভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে জাতীয় গ্রন্থাগার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদটা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, সশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি, একটি সহনশীল, পরমতসহিঞ্চু সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধের সৃষ্টি, সর্বোপরি জনসাধারণের মাঝে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সোনার বাংলা গড়তে প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ। লাইব্রেরি সেই ভূমিকা পালন করছে। সে উপলক্ষে আগামী গ্রন্থাগার দিবসটি যথাযথভাবে পালন করা হবে।
সান নিউজ/এইচএস/এসএস