সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক : যাত্রাদলগুলোকে আকাশ সংস্কৃতির উন্মুক্ততা ও অপসংস্কৃতির কারণে বিলুপ্তির পথে বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্য যাত্রাশিল্প। যাত্রাদলগুলোকে নিবন্ধনের মাধ্যমে হারিয়ে যাওয়া এই শিল্পকে পুনরুদ্ধারে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে চারদিনের যাত্রা উৎসব।
রবিবার (৩১ জানুয়ারি) ছিল ‘যাত্রা শিল্পের নবযাত্রা’ শীর্ষক এই উৎসবের তৃতীয় দিন। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের যাত্রাদলগুলো একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে নিজস্ব প্রযোজনার যাত্রাপালা পরিবেশন করছে।
এদিন বগুড়ার করতোয়া যাত্রা ইউনিট পরিবেশন করে ‘জেল থেকে বলছি’। রঞ্জন দেবনাথের পালায় এটির নির্দেশনায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম।
ঠাকুরগাঁওয়ের দেশ বাংলা অপেরা পরিবেশন করে ‘কাশেম মালা’। করিম খানের পালায় নির্দেশনায় ছিলেন মহাদেব।
বরগুনার পায়রা যাত্রা ইউনিট পরিবেশন করে ‘গুনাইবিবি’। সামছুউদ্দিনের পালায় নির্দেশনায় ছিলেন নুরুল মাতব্বর।
পঞ্চগড়ের দি লাইন অপেরা পরিবেশন করে ‘দেবী সুলতানা’। প্রসাদ কৃষ্ণ ভট্টাচার্যের পালায় নির্দেশনায় ছিলেন প্রণব মন্ডল।
দিনের সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল টাঙ্গাইলর মৌ অপেরার। জসীম উদ্দিনের পালায় ও মোর্শেদ হাসানের নির্দেশনায় এই দলটি পরিবেশন করে ‘লাইলী মজনু’।
আগামীকাল সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) শেষ হবে চারদিনের এই যাত্রা উৎসব। সমাপনী এ দিনে একই মিলনায়তনে বরিশালের দক্ষিণবঙ্গ নাট্য সংস্থা পরিবেশন করবে ‘বিমাতার চক্রান্ত’, বগুড়ার সোনালী নাট্য সংস্থা পরিবেশন করবে ‘মিলন মালা’,ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার অপেরা পরিবেশন করবে ‘আপন দুলাল’,খুলনার সাজ মহল অপেরা পরিবেশন করবে ‘নিহত গোলাপ’।
সান নিউজ/আরআই