নিজস্ব প্রতিবেদক : ভারত সরকারের চতুর্থ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রী পদক পেলেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা সংস্কৃতিজন ছায়ানট সভাপতি সন্জীদা খাতুন ও লেফটেন্যান্টকর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির(বীর প্রতীক)।
সোমবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের এক মহীরুহ সন্জীদা খাতুন। তিনি একাধারে রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী, লেখক, গবেষক, সংগঠক, সঙ্গীতজ্ঞ ও শিক্ষক। তার হতে ধরেই রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উদযাপনের আয়োজন শুরু হয়। এছাড়া তিনি জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মিলন পরিষদেরও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তার হাত ধরেই এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গণে জাগরনের সৃষ্টি হয় এবং বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়। দেশের সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তিনি রয়েছেন সামনের কাতারে।
এর আগে তিনি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) দেশিকোত্তম (পশ্চিমবঙ্গ, ভারত) পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করে।
অন্যদিকে, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানী। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ‘বীর প্রতীক’ খেতাবে ভূষিত করে। ১৯৭১ সালে প্রশিক্ষণরত অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আগস্ট মাসের শেষে তিনি পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন।এর আগে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ এ ভূষিত হন কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
প্রসঙ্গত, ১৯৫৪ সাল থেকে প্রতিবছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এবং পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়া হয়ে থাকে। ব্যক্তি বিশেষ এবং সংগঠনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য ও ব্যতিক্রমী সাফল্যগুলোর স্বীকৃতি জানানো হয় এই পুরস্কারগুলোর মাধ্যমে।
এইচ.এস/বিএস