বস্টনের বাসিন্দা এমিলি হেল ছিলেন একজন নাটকের গুণি শিক্ষিকা। ১৯১২ সালে কবি টি এস এলিয়টের সঙ্গে ম্যাসাচুসেটসের কেমব্রিজে তার প্রথম দেখা । এলিয়ট তখন হার্ভার্ডে। তাদের বন্ধুত্ব আরো ঘনিষ্ঠ হয় ১৯২৭ সালে। এলিয়ট তখন ইংল্যান্ডে চলে আসেন।
১৯৩০ থেকে ১৯৫৭, এই ২৭ বছর ধরে এমিলিকে চিঠিগুলো লিখেছিলেন এলিয়ট। শুধু চিঠি নয়, ফোটোগ্রাফ, ক্লিপিং, এলিয়টের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নিজের সংক্ষিপ্ত রচনা এমিলি বছর ষাটেক আগে আমেরিকার প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের হাতে তুলেও দেন।
তখনই প্রেমিকের লেখা ১১৩১টি চিঠি ওই গ্রন্থাগারকে দান করেন এমিলি। তবে তার একটাই শর্ত ছিল।তাদের দু’জনের মধ্যে যিনি পরে মারা যাবেন, তারও মৃত্যুর পঞ্চাশ বছর বাদে প্রকাশ্যে আনা হবে চিঠিগুলো। চিঠিগুলো যিনি লিখেছিলেন, তার মৃত্যু হয় ১৯৬৪ সালে।
১৯৬৯ সালে প্রয়াত হন প্রাপক নারী। শর্তমাফিক পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হয়েছে।
আগামীকাল ওই অপ্রকাশিত চিঠির সম্ভার ছাত্র-ছাত্রী ও গবেষকদের জন্য খুলে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুধু প্রিন্সটন নয়, সারা বিশ্বে ইংরেজি সাহিত্যের পাঠক মাত্রই তা নিয়ে রোমাঞ্চিত। কারণ, ওই ১১৩১টি চিঠি লিখেছিলেন কবি টি এস এলিয়ট! লিখেছিলেন বান্ধবী এমিলি হেল-কে। দু’জনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়ে গবেষকদের কৌতূহল ব্যাপক। এবারও তারা আশাবাদী যে, খুঁটিয়ে দেখা হলে চিঠিগুলো এলিয়ট-এমিলির সম্পর্কের পাশাপাশি নোবেল জয়ী কবির সৃষ্টিশীল সত্তার উপরেও নতুন আলো ফেলতে পারে।
প্রিন্সটনে ইংরেজির অধ্যাপক জোশুয়া কোটিন বলেন, ক্যাম্পাস উত্তেজিত।
‘দ্য লাভ সং অব জে আলফ্রেড প্রুফ্রক’ এবং ‘দ্য ওয়েস্ট ল্যান্ড’ নিয়ে যারা বিভোর ছিল, তারা এবার সেগুলোর রচয়িতাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। শুধু এলিয়টের তথাকথিত প্রেমজীবন নয়, তার ধর্মীয় পরিবর্তন, নারীদের সম্পর্কে তার ধারণা, একটি বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থায় তার ভূমিকা, ব্রিটিশ সংস্কৃতিতে প্রভাব- কৌতূহল সব কিছু নিয়েই।
তবে এমিলির লেখা চিঠিগুলো অবশ্য নেই। এলিয়টের নির্দেশেই সেগুলো নাকি পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল।
সান নিউজ/সালি