নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুনিয়া জুড়ে করোনাভাইরাসের তাণ্ডব যেন থামছেই না। এরই মধ্যে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২০৯টি দেশ ও অঞ্চলে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। এই ভাইরাসের ছোবলে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লাখের মতো মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। আর প্রাণঘাতী এই ভাইরাস লক্ষাধিক মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছে।
বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ফলে বিশ্বজুড়ে সংকট দেখা দিয়েছে করোনাভাইরাস শনাক্তকারী কিটের।
এমন পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা শোনালেন আশার কথা। তাদের মতে, যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে দেশে একদিনেই অন্তত ৫ হাজার মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা যাবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ছাড়পত্রে এমন সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ কার্যক্রম শুরু করতে প্রয়োজন মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট। এ পদ্ধতিতে ফলাফল পেতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ মিনিট। তবে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের অগ্রাধিকার ছাড়া এমন সুযোগ অধরাই থাকবে বলেও আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
সামাজিক সংক্রমণের চতুর্থ ধাপে বাংলাদেশ। এই ধাপেই প্রতিদিন অন্তত ১০ হাজার টেস্টের প্রয়োজন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত যক্ষ্মা শনাক্তের জিন এক্সপার্ট মেশিনে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষার ছাড়পত্র দেয়ায় সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশেও।
বর্তমানে দেশের জেলা-উপজেলায় মোট ২৫০টি জিন এক্সপার্ট কার্যক্ষম মেশিন রয়েছে; যেখান একদিনে ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষকে কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা করানো সম্ভব বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনও ধরনের প্রশিক্ষণ, জনবল নিয়োগের ঝামেলা ছাড়াও সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় বর্তমানে আমেরিকায় এ পদ্ধতি ব্যবহার হচ্ছে ব্যাপকভাবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ মেশিনের উপযোগী রি-এজেন্ট যত দ্রুত আনা যাবে তত দ্রুতই ব্যাপকহারে পরীক্ষা শুরু করা যাবে।
জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে প্রতি মাসে ২ লাখেরও বেশি মানুষের যক্ষ্মা শনাক্তের পরীক্ষা করা হয়। একই মেশিনে পিসিআর পদ্ধতি ব্যবহার করে মাসে অন্তত দেড় লাখ মানুষের কোভিড-১৯ এর পরীক্ষা সম্ভব বলে জানিয়েছে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি।