নিজস্ব প্রতিবেদক:
বঙ্গবন্ধু'র আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মাজেদের গ্রেপ্তার দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আশা করি, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারবো। তাকে গ্রেফতার প্রক্রিয়ায় যারা সম্পৃক্ত ছিলেন, সবাইকে ধন্যবাদ। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে মুজিববর্ষের একটি শ্রেষ্ঠ উপহার দেশবাসীকে দিতে পেরেছি।’
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, 'আমরা দীর্ঘদিন যেসব দণ্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে দণ্ডাদেশ কার্যকর করার অপেক্ষায় ছিলাম তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। কিছুক্ষণ আগে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত থেকে তাকে হাজতবাসের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে এবং সেই জায়গায় তাকে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।'
মন্ত্রী বলেন, ‘তার স্ত্রী সানা বেগম, বাড়ি নম্বর ১০/এ, রোড নম্বর-০১, ক্যান্টনমেন্ট আবাসিক এলাকা। তিনি সেখানেই বসবাস করতেন। আমাদের গোয়েন্দাদের কাছে তার সব তথ্য ছিল।’
এ সময় আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, ‘১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সময় এই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ এবং নূর এবং রিসালদার মুসলেহউদ্দিন- এই তিনজন সেখানে ছিলেন। আরও কয়েকজন ছিলেন। এই খুনি শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনে অংশগ্রহণ করেননি। তিনি জেলহত্যায়ও অংশগ্রহণ করেছিলেন বলে আমাদের জানা রয়েছে। খুনের পরে তিনি জিয়াউর রহমানের নির্দেশ মোতাবেক বঙ্গভবনে এবং অন্যান্য জায়গায় কাজ করেছেন।’
তিনি বলেন, তৎকালীন জিয়াউর রহমান সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের বদলে নানাভাবে পুরস্কৃত করেছে। ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে তাদের যাতে বিচার না হয়, সে ব্যবস্থাটি পাকাপোক্ত করেছেন। এই খুনিকে আমরা দেখেছি, সেই সরকারের আশীর্বাদে বিভিন্ন দূতাবাসে এবং দেশে-বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় চাকরিরত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার আগেই তিনি আত্মগোপন করেন।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর সব খুনিকে দেশে ফিরে আনার জন্য সর্বপ্রকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।