আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
একদিকে ইরানের পরমানু চুক্তি না মানা ও ট্রাম্পের মাথার মূল্য ঘোষণা, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ বিমানের প্রস্তুতির সঙ্গে যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ প্রেরণ, সব মিলিয়ে ভয়ানক এক যুদ্ধের চিত্রপট। এমন আশংকা সারাবিশ্বে।
বাগদাদে ইরানী জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের উত্তেজনা এখন তুঙ্গে, যা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছে বলে আশংকা বিশ্লেষকদের ।
এরই মধ্যে ইরানীদের কাছ থেকে ঘোষিত হয়েছে ট্রাম্পের মাথার মূল্য ৫৭৫ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে ভারত মহাসাগরে ডিয়েগো গার্সিয়া সামরিক ঘাঁটিতে ছয়টি বি-৫২ বোমারু বিমান প্রস্তুত রেখেছে পেন্টাগন।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এগুলো তেহরানে আঘাত হানবে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার বাইরে ওই বিমানগুলো মোতায়েন করা হচ্ছে।
সোমবার পেন্টাগনের এক কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেন, পেন্টাগন প্রায়ই দীর্ঘ পরিসরে বোমারু এবং অন্যান্য বিমান মোতায়েন করে থাকে। এর মাধ্যমে মার্কিন বাহিনীর অবস্থান এবং সক্ষমতার জানান দেওয়া হয়। এসব বিমানকে এখনই হামলার কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। নির্দেশনা পেলেই ইরানের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করবে।
মার্কিন সৈন্যদের ইরাক ছাড়তে দেশটির সংসদে বিল পাশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইরাকের উপর যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞার হুমকীতে জটিল হয়ে উঠেছে বর্তমান পরিস্থিতি।
এদিকে ইরাকে মার্কিনীরা যখন একের পর এক হামলায় আক্রান্ত, সে মুহুর্তে বৃটিশ সরকার তার জনগণ ও সম্পদ রক্ষার অজুহাতে পারস্য উপসাগরে পাঠিয়েছে দুটি যুদ্ধ জাহাজ ।
সান নিউজ/সালি