সান নিউজ ডেস্ক:
বিশ্বজুড়ে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। তবে এর প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোনও ওষুধ আবিষ্কার করতে পারেননি গবেষকরা।
এ থেকে মুক্ত থাকতে মানসিক ও শারীরিক সুস্থতায় ধূমপান-মদপান বন্ধ, ব্যায়াম করা এবং অতিরিক্ত সংবাদ না দেখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনা রোধে জন-সচেতনতাকেই সবচেয়ে বড় ওষুধ হিসেবে দেখা হচ্ছে। মানুষের মধ্যে না গিয়ে সামাজিক দূরত্ব মেনে শুধু কী সচেতন থাকলেই মুক্তি মিলবে? না। আক্রান্ত যাতে না হন সেজন্য মেনে চলতে হবে কিছু স্বাস্থ্যবিধিও।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্ববাসিকে। তিনি বলেছেন, এই কঠিন সময়ে আপনার মানসিক ও শারীরিক অবস্থা ঠিক রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পরামর্শগুলো শুধু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নয় বরং দীর্ঘমেয়াদী কাজে লাগবে।
টেড্রসের পরামর্শগুলো হলো:
১. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
২. মদ ও মিষ্টি জাতীয় খাবার কম খান।
৩. ধূমপান করবেন না। এটা করোনার উপসর্গ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।
৪. প্রাপ্ত বয়ষ্কদের দিনে অন্তত এক ঘণ্টা এবং শিশুদের আধাঘণ্টা ব্যায়াম করতে হবে।
৫. যদি বের হওয়ার সুযোগ থাকে তবে হাঁটুন, দৌড়ান অথবা সাইকেল চালান। তবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে এগুলো করতে হবে।
৬. বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ না থাকে তবে ঘরের মধ্যেই নাচুন, ইয়োগা করুন অথবা সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করতে পারেন।
৭. যারা বাসায় বসে কাজ করছেন, তারা একই জায়গায় দীর্ঘ সময় বসে থাকবেন না।
৮. কাজের মধ্যে ৩০ মিনিটে অন্তত ৩ মিনিট বিশ্রাম নিন।
৯. মন ভালো রাখুন। গান শুনুন, বই পড়ুন অথবা গেমস খেলুন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, এমন সংকটে চাপ অনুভব করা, দ্বিধান্বিত হওয়া কিংবা আতঙ্কিত হওয়া খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। অন্যদের সঙ্গে কথা বলুন আস্থা রাখুন।
তিনি বলেছেন, যেসব সংবাদ উদ্বেগ বাড়ায় তা পড়বেন না কিংবা দেখবেন না। তবে দিনে একবার বিশ্বস্ত সূত্রের তথ্যগুলো দেখে নিতে পারেন।
ভিডিও লিঙ্ক... https://web.facebook.com/acdrcc/videos/2651307338472779/
সান নিউজ/সালি