নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি। কিন্তু তাদের এই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার ধারণাটিকে ‘জটিল’ ও ‘অস্পষ্ট’ দাবি করে তাতে যোগ না দিতে একে একে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিচ্ছে প্রভাবশালী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। এবার এতে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), পরদিন বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও ইউজিসির কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় না যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপচার্য (প্রশাসন) আমির হোসেন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার বিষয়টি জটিল ও অস্পষ্ট। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল এই মুহূর্তে এমন অস্পষ্ট এবং জটিল পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা না নেওয়ার জন্য সর্বসম্মতক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্বকীয়তাবিরোধী, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাবিরোধী এবং ভবিষ্যতের জন্য অকল্যাণকর বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলম বলেন, ‘ইউজিসির আয়োজনে হতে যাওয়া কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় এ বছর না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পরিষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মেই পরবর্তী ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।’
বর্তমানে দেশে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করে এমন ৩৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। এর বিপরীতে ভর্তি পরীক্ষা দেন কয়েক লাখ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি ও আর্থিক খরচ কমাতে সাত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর এ বছর থেকে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় ইউজিসি। নতুন পদ্ধতিতে কলা, বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। কিন্তু শুরু থেকেই এ নিয়ে অনাগ্রহ দেখিয়ে আসছিল বুয়েট এবং ৭৩-এর আদেশে চলা স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয়। সবশেষে স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয়ই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তের কথা জানাল।