কেন রাজধানীর বায়ু দূষণ রোধ করা যাচ্ছে না এবং বায়ু দূষণরোধে কী ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তা জানাতে পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালককে তলব ককরা হয়েছে হাইকোর্ট। আগামী ২ ফেব্রুয়ারি তাকে আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে ৯ দফা সুপারিশ করেছেন হাইকোট।
আজ সোমবার বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া ৯ দফা নির্দেশনায় সড়ক পরিবহন আইনের বিধান অনুযায়ী পরিবহনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। যেসব পরিবহনের ‘ইকোনোমিক লাইফ’র মেয়াদ শেষ হয়েছে সেসব পরিবহন চলাচলে নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া চলমান টায়ার পোড়ানো ও ব্যাটারি রিসাইকেলিং বন্ধ করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই আদেশ বাস্তবায়ন করে পরিবেশ অধিদপ্তরকে একমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
ঢাকার পাশের চার জেলায় (গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ) যেসব অবৈধ ইটভাটা এখনও বন্ধ করা হয়নি তা বন্ধ করে দুইমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ঢাকায় বালি, ময়লা, বর্জ্য বহনের সময় বহনকারী ট্রাকসহ সংশ্লিষ্ট যান ঢেকে চলাচল করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। দোকান বা মার্কেটের ময়লা যাতে সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে ফেলা হয় তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সিটি কর্পোরেশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো স্থাপনা নির্মাণ এলাকায় বালি, সিমেন্ট, মাটিসহ নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইন ও দরপত্রের শর্তানুযায়ী উন্নয়ন ও নির্মাণ কাজ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের যেসব ধুলাবালি প্রবণ এলাকায় এখনও পানি ছিটানো হয়নি সেসব এলাকায় নিয়মিত পানি ছিটাতে বলা হয়েছে। আগামী ১ মার্চের মধ্যে সব বিবাদীকে ওই ৯ দফা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।