ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে রোরবার মধ্যরাতে তান্ডব চালিয়েছে মুখোশধারী দুর্বূত্তরা। হামলায় প্রায় অর্ধশহ ছাত্র-শিক্ষক আহত হয়েছেন। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গোঠা ভারত। হামলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুম্বাইয়ের শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন। আরা ‘ইন্ডিয়া গেট’ এ অবস্থান নেন। এ হামলায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘোষসহ অনেক শিক্ষার্থী ওশিক্ষক আহত হয়েছেন বলে এনডিটিভি ও টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।
এ হামলায় ভারতের হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) সমর্থিত এভিবিপি’কে দায়ী করেছেন অনেকে। হামলার সময় পুলিশ নিষ্ক্রিয় থেকে তাদের সহযোগিতা করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভারতের রাজধানীর নামি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ দীর্ঘদিন ধরেই বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিজেপি সরকারের নানা সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আসছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই ছাত্র সংসদের সাবেক সভাপতি কানহাইয়া কুমার এখন ভারতের জাতীয় রাজনীতিতেও পরিচিত মুখ। এনআরসি নিয়ে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও নেমেছিল নেহেরু ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা;।
হস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলছিল; ধর্মঘটও ডেকেছিল বাম ছাত্র সংগঠনগুলো।এনডিটিভি জানায়, ধর্মঘট আহ্বানকারী বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিকালে এবিভিপির নেতা-কর্মীদের হাতাহাতি হয়েছিল। সন্ধ্যার পর অর্ধশত মুশোখধারী ক্যাম্পাসে ঢুকে চালায় হামলা।
এই পরিস্থিতিতে সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে নেহেরু ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ডাকা হয়েছে জানিয়ে হামলাকারীদের ধরার আশ্বাসও দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার প্রমোদ কুমার।এদিকে এই হামলা ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়িয়েছে।