নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনা: খুলনা নগরীর খানজাহান আলী থানার মশিয়ালী ইস্টার্নগেট এলাকায় ট্রিপল মার্ডার মামলার এজাহারভুক্ত আসামি রবিনকে (২০) জিজ্ঞাসাবাদে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তরিকুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক মো. এনামুল হক দশদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিলেন।
রবিন মশিয়ালী এলাকার মো. ফারুক হোসেনের ছেলে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. এনামুল হক বলেন, রবিনকে গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রবিনকে পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে রাখা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এ পর্যন্ত মামলাটির এজাহারভুক্ত ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে ও মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সন্ত্রাসী শেখ জাকারিয়া ও মিল্টনসহ অন্য আসামিদের আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ গ্রেপ্তারে ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন মশিয়ালী এলাকাবাসী। শুক্রবার (১৪ আগস্ট) আসরবাদ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবেন বলে জানান তারা।
গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৮টার দিকে খানজাহান আলী থানার তিন সন্ত্রাসী সহোদর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া, খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি জাফরিন ও মিলটনের বাহিনীসহ আরো ১০/১২ জন স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। এতে মশিয়ালী এলাকার মৃত মো. বারিক শেখের ছেলে মো. নজরুল ইসলাম (৬০) ও মো. ইউনুচ আলীর ছেলে গোলাম রসুল (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। মো. সাইফুল ইসলাম, আফসার শেখ, শামীম, রবি, খলিলুর রহমান ও মশিয়ার রহমানসহ আরও কয়েকজকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হলে রাত সোয়া ১২টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. সাইফুল ইসলাম মারা যান।
এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত ২টার দিকে জাকারিয়া, জাফরিন ও মিলটনের বসত-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জ্বালিয়ে দেন এবং তাদের বাহিনীর জিহাদ শেখকে (৩০) গণপিটুনি দিয়ে মেরে ফেলেন।
হত্যাকাণ্ডের মূল খলনায়ক শেখ জাকারিয়া ও তার ভাই মিল্টনকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ফলে এলাকাবাসীর মাঝে এখনো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সান নিউজ/ এআর