নিজস্ব প্রতিবেদক:
চীনের উহান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশি পাইলটদের অন্য কোন দেশ ঢুকতে দিচ্ছে না। এ কারণে তাঁরা আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারছেন না।
সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে আরও ১৭১ জন বাংলাদেশি দেশে ফিরে আসতে চাইছেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমানে তাঁদের আনতে সমস্যা হচ্ছে। কেননা, এর আগে ৩১৪ জন বাংলাদেশিকে আনতে যে ফ্লাইট গিয়েছিল, সেটির পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত পাইলট ও ক্রুদের অন্য দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এ কারণে নতুন করে যাঁরা আসতে চাইছেন, তাঁদের চীনের কোনো এয়ারলাইনসের ভাড়া করা বিমানে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। তবে যাঁরাই বাংলাদেশে আসবেন, তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, ‘আমাদের প্লেন পাঠানো যাচ্ছে না। আমাদের প্লেন পাঠালে যে ক্রুরা যাবে তাদের বাইরে ভিসা দেয় না। অলরেডি সিঙ্গাপুর না করে দিয়েছে, এই ক্রুরা আমাদের এখানে আসতে পারবে না।
সংবাদ সম্মেলনে সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়, চীনে বিমান যাতায়াত বন্ধ থাকবে কি না। উত্তরে তিনি বলেন, এখন প্রতিদিন চীনে ৪টি ফ্লাইট যাচ্ছে। প্রতি ফ্লাইটে ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এয়ারলাইনসগুলো নিজেরাই ফ্লাইট বন্ধ করবে।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সম্পর্কে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর স্পেশালি ২০-২৫ জন নিয়ে বসে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে- যেভাবেই হোক এটাকে (করোনাভাইরাস) আমাদের দেশে ঢোকা প্রতিরোধ করতে হবে। এছাড়া যারা চীনের উহান থেকে আসবে সবাইকে...উহান থেকে তো চায়না একেবারে ক্লোজ করে দিয়েছে। সুতরাং বের হতে পারবে না। তারপরও বলা হয়েছে যদি সন্দেহ হয় উহান থেকে আসছে, তাকে অবশ্যই ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে রাখতে হবে। কারণ আমরা এটা নিয়ে তো রিস্ক নেব না।’
তিনি বলেন, ‘এরই মধ্যে যে ৩১২ জন আসছে (চীনের উহান থেকে) তাদেরকে হজ ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে খাওয়া-দাওয়া সবকিছু দেয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তারা বোধ হয় বুঝতে পারেনি তাদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তারা ভাবছে ছেড়ে দেবে, বাড়িতে চলে যাবে। ইয়ং ছেলেরা প্রথমে জানতেও চাচ্ছিল, আমাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? তাদের বুঝানো হলো এটা তো হাইলি রিস্কি।’