নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা দেশের চিকিৎসক এবং চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সবার জন্য মানসম্মত পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) বা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম নিশ্চিত করতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী।
৩০ মার্চ সোমবার সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ই-মেইল করে জনস্বার্থে এ নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনিরুজ্জামান লিংকন।
নোটিশে আগামী সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সরকারের করোনা প্রতিরোধ সেলকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনি প্রতিকার চেয়ে রিট আবেদন করে এর প্রতিকার চাওয়া হবে।
নোটিশে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি জরুরি করোনাভাইরাস চিকিৎসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কারণ এটি সংক্রামক ব্যাধি। এ রোগের চিকিৎসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা না থাকলে সংক্রামক ব্যক্তি থেকে চিকিৎসকরা এতে সংক্রমিত হতে পারেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপ থেকে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী এ রোগে আক্রান্তদের মধ্যে ১০ ভাগই চিকিৎসাসেবার সঙ্গে যুক্ত। এ কারণে মানসম্মত পিপিই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নোটিশে আরও বলা হয়, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর আসছে, ব্যাপক চাহিদার কারণে আমাদের দেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পিপিই তৈরি করছে, যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, পিপিইতে সংক্রমণ প্রতিরোধের যেসব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন সেটি নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা? কারণ আমরা ইতোমধ্যে লক্ষ্য করেছি পিপিই ব্যবস্থা নেয়ার পরও চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতর পিপিই ব্যবহারে একটি নীতিমালা তৈরি করেছে, যার ব্যাপক প্রচার জরুরি। এখন আমাদের সব থেকে বেশি জরুরি করোনা রোগীদের চিকিৎসায় যারা নিয়োজিত তাদের যেসব পিপিই সরবরাহ করা হচ্ছে সেগুলোর সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে কি-না, তা নিশ্চিত করা। কারণ একজন চিকিৎসক যখন চিকিৎসা দেবেন তখন তিনি নিজেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ ভাববেন। কিন্তু সেই পিপিই যদি সংক্রমণ প্রতিরোধে সক্ষম না হয় তাহলে চিকিৎসাকর্মী সংক্রমিত হবেন। যা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে এবং করোনা নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পারে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে পিপিই সরবরাহের আগে সেটি সঠিক মান নিয়ন্ত্রণ করে তৈরি হচ্ছে কি-না, বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য এ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য দেশের রফতানি মুখী ১২টি পোশাক কারখানায় পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরি হচ্ছে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর তত্ত্বাবধানে কারখানাগুলো কাজ করছে।
সান নিউজ/সালি