ক্রীড়া প্রতিবেদক:
টানা ছয় টেস্টে পরাজয়ের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে চতুর্থ দিন শেষ হবার আগেই এক ইনিংস ও ১০৬ রানে জিতেছে স্বাগতিকরা। জিম্বাবুয়ে গুটিয়ে গেছে ১৮৯ রানে।
আর এ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান যার, তিনিই হলেন মুশফিকুর রহিম। মিরপুরে টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি করে দীর্ঘদিনের সতীর্থ তামিম ইকবালকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। টেস্টে বাংলাদেশের পক্ষে মুশফিকের এখন সর্বোচ্চ ৪ হাজার ৪১৩ রান। ৪ হাজার ৪০৫ রান নিয়ে তামিম এখন তার পেছনেই।
এর আগে পাকিস্তান সফর থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ায় বেশ সমালোচনায় পড়েছিলেন তিনি। তার সিদ্ধান্তে নাখোশ হয়েছিলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। এমনকি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চলটি টেস্টে তাকে ‘না’ নেওয়ার সম্ভাবনার কথাও শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সবকিছুর জবাবটা পারফরম্যান্স দিয়েই দিতে চেয়েছিলেন তিনি। আর সেটা করেও দেখিয়েছেন তিনি।
মুশফিকুর রহিম সেঞ্চুরি করেছিলেন কাট শটে চার মেরে। ডাবল সেঞ্চুরিও তাই। দুই বারই বোলার ছিলেন এইন্সলি এন্দলোভু। চার মেরেই বাতাসে ঘুষি। হেলমেট, ব্যাট ছেড়ে দুই হাত আকাশে তুলে সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানান। এরপর আকাশে চুমু ছুঁড়ে দিয়েই চওড়া হাসি মুখে টেনে আনেন মুশফিক। এরপর যেন বাঘের মতো থাবা দেখিয়ে উদ্যাপন করলেন মুশফিকুর রহীম। শান্ত স্বভাবের মুশফিককে এই ধরনের উদ্পযাপন করতে দেখা যায় না সাধারণত। কেন এমন ক্ষ্যাপাটে হলেন তিনি! এটা কি সমালোচনার জবাব? নাকি ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হওয়ার আনন্দ! আর তাঁর মুখভঙ্গিটাও কি ছিল ঠিক বাঘের মতই? না কি অন্য কিছু?
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক জানালেন তার রহস্য। মুশফিক বলেন, ‘এটা (উদ্যাপন) আমি আগে থেকে চিন্তা করি নাই। ডাবল হান্ড্রেড করার পরে তা করি। কারণ আমার ছেলে আসলে ডাইনোসরের খুব বড় ফ্যান। ও সবসময় ডাইনোসর দেখলে অন্যরকম সেলিব্রেশন করে। সেইটাই জাস্ট করার চেষ্টা করছিলাম।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের তালিকা:
১. মুশফিকুর রহীম - ৭০ ম্যাচের ১৩০ ইনিংসে ৪৪১৩ রান, সর্বোচ্চ ২১৯*
২. তামিম ইকবাল - ৬০ ম্যাচের ১১৫ ইনিংসে ৪৪০৫ রান, সর্বোচ্চ ২০৬
৩. সাকিব আল হাসান - ৫৬ ম্যাচের ১০৫ ইনিংসে ৩৮৬২ রান, সর্বোচ্চ ২১৭
৪. হাবিবুল বাশার - ৫০ ম্যাচের ৯৯ ইনিংসে ৩০২৬ রান, সর্বোচ্চ ১১৩
৫. মুমিনুল হক - ৪০ ম্যাচের ৭৪ ইনিংসে ২৮৬০ রান, সর্বোচ্চ ১৮১