জাতীয়
করোনাভাইরাস

এপ্রিল 'পিক টাইম' থাকতে হবে সর্বোচ্চ সতর্ক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পুরো এপ্রিল মাসে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষজ্ঞারা বলছেন, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের জন্য এপ্রিল মাস হচ্ছে 'পিক টাইম'। দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত, আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং প্রবাসীদের দেশে আসার সময়ের ওপর বিশ্লেষণ করে এমন আশঙ্কা করছেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞারা।

এর জন্য বাংলাদেশ সরকার ও দেশের জনগণকে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এ মাসে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞারা।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা-ডাব্লিউএইচও এক প্রতিবেদন বলছে, করোনাভাইরাসের বংশবিস্তারে সময় লাগে ৫ দশমিক ৫ দিন। আক্রান্ত হওয়ার ১২ দিনের মধ্যে লক্ষণ দেখা দেয়। প্রথম দিকে লক্ষণ প্রকাশ না পেলেও আক্রান্ত ব্যক্তি অন্যদের মধ্যে ভাইরাসটির বিস্তার ঘটাতে সক্ষম।

১৮ মার্চ থেকে দেশে করোনায় আক্রন্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের লক্ষণ প্রকাশ পেতে পারে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। এ সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্বারা অনেকে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই সময়ে করোনা সংক্রমণ যদি ঠেকানো না যায় তাহলে এপ্রিলের মধ্যে দেশে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস।

স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞ ডা. মালিহা মান্নান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে এপ্রিলের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে অনেক বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কোনো ব্যক্তির লক্ষণ প্রকাশ পেলে তাদের পরিবারের সদস্যদেরও কোয়ারেন্টিনে রাখতে হবে। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা মানা না হলে দেশে বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।

কোনো মহামারিতে একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে সরাসরি কতজন আক্রান্ত হতে পারে তা বেসিক রিপ্রোডাকশন নম্বর বা “আর.ও” নামে পরিচিত। জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল মেডিসিনে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে,করোনাভাইরাসের ‘আর.ও’ ২ দশমিক ৪৯ থেকে ২ দশমিক ৬৩ পর্যন্ত হতে পারে। অর্থৎ একজন আক্রান্ত ব্যক্তি গড়ে ২ দশমিক ৫ জনেরও বেশি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে।

অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে চরম সংক্রমণও হতে পারে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ১০০ জনের মধ্যেও ভাইরাসটি ছড়িয়ে দিতে পারে। চীন, ইতালি ও যুক্তরাষ্ট্রে এরকম চরম সংক্রামক থাকার প্রমাণ মিলেছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৫৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তির বেসিক রিপ্রোডাকশন নম্বর বা “আর.ও” গড়ে ২ দশমিক ৫ জন। সে ক্ষেত্রে তাদের মাধ্যমে আরও ১৩৫ জন আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১৩৫ জনের কাছ থেকে ৩৭৫ জন। সেখান থেকে ৮৪৩ জন। এভাবে বাড়তে থকবে। তারা যদি জনসমাগম স্থলে যায় সে ক্ষেত্রে আক্রান্তের হার আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ যদি এই প্রাথমিক সময় করোনার বিস্তার সমাল দিতে পারে তাহলে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে। এর জন্য এই এপ্রিল মাস খুবি গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞারা বলছেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা ছিলো এবং আশেপাশে যারা এসেছে তাদের চিহ্নত করে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এবং তাদের সবার কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে হবে। এর বিকল্প নেই। তাহলে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।

Copyright © Sunnews24x7
সবচেয়ে
পঠিত
সাম্প্রতিক

জাজিরায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

শরীয়তপুর প্রতিনিধি: শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায় বাংলাদেশ জ...

খাগড়াছড়িতে ট্রাকচাপায় নিহত ১

আবু রাসেল সুমন, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়িতে পাথর বোঝ...

অধিনায়কত্ব ছাড়লেন শান্ত

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দলের অধিনায়কের...

কিশোরগঞ্জে পালিত হলো জাতীয় সমাজসেবা দিবস

লিওয়াজা খান চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কবি আহসান হাবীব’র জন্ম

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজকের ঘটনা কাল অতীত। প্রত্যেকটি অতীত সময়ের...

শীতার্তদের জন্য পৌনে ৭ লাখ কম্বল

নিজস্ব প্রতিবেদক: শীত মোকাবিলায় শীতার্ত ও দুস্থদের মাঝে বিতর...

বিদ্যালয় নতুন বই ও ছাড়পত্রে টাকা আদায়ের অভিযোগ

মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

ইয়েমেনে সৌদি আরবের হামলায় আহত ১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইয়েমেনের সীমা...

খালেদা জিয়ার-সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়ত...

লাইফস্টাইল
বিনোদন
sunnews24x7 advertisement
খেলা