ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক:
করোনায় দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরের পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত দেশটিতে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৫শ’রও বেশি মানুষের। সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে ৩৩৩ জনের। কিন্তু সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে করোনা সংক্রমিত দেশটির গুয়াকুইল শহরের বিভিন্ন বাড়ি ও রাস্তা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় প্রায় ৮শ' মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও সরকারিভাবে এসব মৃত্যুর কারণ উল্লেখ করা হয়নি।
গুয়াকুইল শহরের অনেক বাসিন্দাই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা পরিত্যক্ত মরদেহের ছবি পোস্ট করছেন। তারা এসব মরদেহ সৎকারের অনুরোধ জানাচ্ছেন।
ইকুয়েডরে করোনা সংক্রমণের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র গুয়ায়েস প্রদেশের রাজধানী এই গুয়াকুইল শহর। সারা দেশের ৭০ শতাংশ আক্রান্তই এ শহরের। ব্যাপক আকারে করোনা সংক্রমণের মুখে আক্ষরিক অর্থে ধসে পড়েছে এর জরুরি সেবা, হাসপাতাল, মর্গ ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার ব্যবস্থা।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
মরদেহ সৎকারে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার কারণে মানুষজন দিনের পর দিন স্বজনদের লাশ ঘরে রাখতে বাধ্য হয়। এক পর্যায়ে কেউ কেউ হয়তো রাস্তায় লাশ ফেলে দিয়ে গেছে। এখনও অনেকে যথাযথভাবে সৎকারের আশায় প্রিয়জনের লাশ নিয়ে বসে আছে।
শহর জুড়ে বিভিন্ন বাড়ি ও রাস্তায় পড়ে থাকা এসব মরদেহ সংগ্রহে গঠিত পুলিশের দলটিকে নেতৃত্ব দেওয়া জর্জ ওয়েটেড বলেন, আমরা মানুষের বাড়ি থেকে সংগ্রহ করেছি এমন মরদেহের সংখ্যা ৭শ'রও বেশি।
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডরে ২৯ ফেব্রুয়ারি প্রথম করোনা শনাক্ত করা হয়। এপ্রিলের শুরুতে ওয়েটেড জানান, চিকিৎসকদের মতে এ মাসে কেবল মাত্র গুয়ায়েস প্রদেশেই করোনায় মৃতের সংখ্যা আড়াই থেকে সাড়ে ৩ হাজারে পৌঁছাবে।