নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন-ইউজিসি। কিন্তু তাদের এই কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার ধারণাটিকে ‘জটিল’ ও ‘অস্পষ্ট’ দাবি করে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে এ পদ্ধতিতে যোগ না দিতে একে একে অনিহা প্রকাশ করে প্রভাবশালী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাদের এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা চাপে পড়েই সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার পরিবর্তে এখন গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল ইউজিসি।
২৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে উপাচার্যদের সঙ্গে উজিসি মিলনায়তনে বৈঠকের পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান কাজী শহীদুল্লাহ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ বছরে ক্যাটাগরি অনুযায়ী গুচ্ছ পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় না এলেও শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি লাঘবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান। বৈঠকে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বলে জানায় ইউজিসি। এ লক্ষ্যে একটি খসড়া নীতিমালাও তৈরি করা হয়।
তবে ইউজিসি জানিয়েছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তে স্পষ্ট সম্মতি দেয়নি। পরে ওই পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয় তাদের একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এ পরিস্থিতিতে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে উপাচার্যদের নিয়ে বৈঠকে বসে ইউজিসি। বৈঠকে আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাটাগরি অনুযায়ী গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ১১টা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাঁচটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, তিনটি বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক বিষয়ে আলাদা পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে দেশে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া, সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলছে। মেডিক্যালেও সমন্বিত ভর্তি ব্যবস্থা রয়েছে।
সান নিউজ/সালি