নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাস আতঙ্কে থাকা চীন থেকে ফেরত আসা বাংলাদেশিরা আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পের ‘কোয়ারেন্টাইন’ ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেখানে শিশুরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে এবং প্রতি রুমে অতিরিক্ত মানুষের ঠাসাঠাসি করে থাকার পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ তাদের বেশি।
৩ বছর আর ১০ বছরের দুই বাচ্চা নিয়ে আসা ফারাজানা ইয়াসমিনের অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইন মানেইতো আলাদাভাবে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা। সেখানে একসাথে গাদাগাদি করে এতো লোকের সাথেই যদি থাকতে হয় তবে তাকে বিশেষ ব্যবস্থা বলা হবে কেমন করে। এক এক রুমে ৪০ থেকে ৫০ জন করে থাকতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
শিশুদের নিয়ে অভিযোগ তার আরও বেশি। ফারজানা বলেন, ‘এতো মানুষের মধ্যে বাচ্চাদের রাখি কীভাবে? তাদের বিষয়টাতো আরও বেশি স্পর্শকাতর। শিশুদের জন্য এখানে বিশেষ কোন ব্যবস্থা নেই। দুধ খাওয়ানোর জন্য সামান্য গরম পানিরও ব্যবস্থা নেই এখানে’।
চীনের উহান থেকে আসা আরেক ছাত্র রাকিবুল ইসলাম তূর্য জানান, "কোয়ারেন্টাইন বলতে যা বোঝায় সেটা হচ্ছে বিচ্ছিন্ন রাখা। তো সেটাতো এখানে দেখছি না। তিনটি রুমে থাকা প্রায় ১৪০-১৫০ জন মনেুষের জন্য টয়লেট আর ওয়াশরুম মাত্র দুটি করে। এটা কি চিন্তা করা যায়?
আরও অনেকে এমন অভিযোগ করে বলেন, এখানে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার যথেষ্ঠ ঘাটতি রয়েছে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে এখানকার কর্তৃপক্ষ বেশ উদাসীন। খাবারের প্যাকেট দীর্ঘক্ষণ ধরে পড়ে রইলেও তা পরিস্কারের জন্য তেমন তোড়জোর না দেখার একটা উদাহরণ তুলে ধরেন তারা।
তাদের আশঙ্কা ক্যাম্পে থাকা যে কোন একজন যদি কোনভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ওঠেন তবে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে তাদের মধ্যে।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এরই মধ্যে শতশত মানুষের মৃত্যূ হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে ২০টি দেশে। উহানে আটকে থাকা ৩১২ বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনা হয় গত শনিবার। তাদের কারোর মধ্যে করোনাভাইরাসের কোন ধরণের লক্ষণ দেখা না গেলেও বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে তাদেরকে রাখা হয়েছে আশতোনা হজ্বক্যাম্পে। সেখানে তাদেরকে মোট ১৪ দিন রাখা হবে।